• ঢাকা
  • রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২০, ০৯:৫৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৪, ২০২০, ০৯:৫৮ এএম

সোলেমানিকে খতম করেছি : ট্রাম্প

সোলেমানিকে খতম করেছি : ট্রাম্প
মার্কির প্রেসিডন্টে ডোনাল ট্রাম্প

ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যার পর মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প। বললেন, আমরা তার অভিনয় ধরে ফেলেছি এবং তাকে খতম করেছি। প্রয়োজনে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছি।

ফ্লোরিডার পাল্ম বিচে তার মার-অ্যা-লাগো রিসোর্টে সাংবাদিকদের ডেকে শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন থেকে মিসাইল ছুঁড়ে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। 

ট্রাম্প বলেন, গতরাতে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্যই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে নয়। ইরানের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন চায় না আমেরিকা। তবে আমেরিকা যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যদি আমেরিকাকে কোনো হুমকির মুখে ফেলে ইরান। 

তিনি আরও বলেন, আমার যুদ্ধ শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিইনি। সোলেমানি তার অসুস্থ আবেগের জন্য অনেক নিষ্পাপ মানুষকে হত্যা করেছে। 

মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া মুসলিমদের নানা গ্রুপের উত্থান সোলেমানির মাধ্যমেই, দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট ইউনিট কুদস ইউনিটের প্রধান সোলেমানিকে হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিকট ভবিষ্যতে যে কর্মকাণ্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল ইরান, তা মার্কিন নাগরিকদের জন্য হুমকি ছিল। 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, এ ঘটনায় পেছনে দায়ীদের জন্য তীব্র প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। সোলেমানির মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিপক্ষে ইরানকে দ্বিগুণ শক্তিশালী করে তুলবে। 

ইরানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিভাগ ‘সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল’ ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে- এই অপরাধমূলক রাজনৈতিক হঠকারিতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায় নিতে হবে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক কৌশলগত ভুল এবং আমেরিকা সহজেই এর পরিণতি থেকে বাঁচতে পারবে না। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ইরান তার আকাশে হঠাৎ যুদ্ধ বিমানের মহড়া শুরু করেছে দিয়েছে। 

এদিকে ইরানের এই ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করেই মধ্যপ্রাচ্যে আরও ৩ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি সপ্তাহেই তাদের সেখানে নিয়োজিত করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে নিয়োজিত বর্তমান সেনাদের সহায়তা করতে ৮২ এয়ারবোন ডিভিশনের ৩ হাজার সেনা যাচ্ছে সেখানে। সোলেমানিকে হত্যার পর তাদের সেখানে নিয়োজিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প।

বিএস