• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২০, ০২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২০, ০২:৫৫ পিএম

কোভিড-১৯

আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৮

আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৫৮

নতুন করে ৫৮ জনের মধ্যে অত্যন্ত ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো মোট ৪৮২ জনে। মৃত্যু হয়েছে আরও ৩ জনে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩০। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে আরও ৩ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ৩৬ জন।

শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনে মৃত্যু ও নতুন শনাক্তের  তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনে আরও তথ্য তুলে ধরেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। 

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ ও নারী ১০। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকায় ১৪। এর পর আছে নারায়ণগঞ্জ ৮। আক্রান্তদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে। ১৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে।

গত কয়েক দিনের চেয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কম। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪২৪ জন। সেদিন ৬ জনের মৃত্যু হয়।

দেশে কোভিড-১৯ প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারাণ বলেছেন , দেশে সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের মাঝামাঝিতে রয়েছে। ভাইরাসটি কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়লেও সেটা এখনও ক্লাস্টার আকারে রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেলে চলতে হবে খুবই কঠোরভাবে। তা না হলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।

কোভিড-১৯ বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ হাজার মৃত্যুতে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৭০০। আক্রান্ত ১৭ লাখ মানুষ।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) একদিনে রেকর্ড দু’হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা এখন ১৮, ৭০০। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখ। প্রায় দু’হাজার মৃত্যু দেখেছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। সব মিলিয়ে ফ্রান্সে মারা গেছেন ১৩ হাজারের বেশি। যুক্তরাজ্যে এ সংখ্যা ৯ হাজার ছুঁইছুঁই।

কয়েকদিনের ধরাবাহিকতায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমছে ইতালি-স্পেনে। ভাইরাসটিতে কেবল ইউরোপেই মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার মানুষের। বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, অনেক দেশই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে চাইছে। কিন্তু এখনই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। মহামারি ঠেকাতে বা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার একমাত্র কারণ হলো দুর্বল ব্যবস্থা। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের যুগেও কোনও দেশই যে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম নয়, তা এ দুর্যোগে প্রমাণিত। কোনও দেশ দাবি করতে পারবে না যে তাদের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী।

এসএমএম

আরও পড়ুন