বন্ধুত্বের কাছে এ ছিল এক পরীক্ষা। দুই বন্ধু নীরবেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জীবনের সব কঠিন মুহূর্তে পাশে থাকার। সেই প্রতিশ্রুতি আর ধর্মীয় নিয়মের মাঝে পড়ে গিয়েছিল রাজ্জাক খান তিকারি। ছত্তিশগড়ের রাজ্জাক শেষ অবধি বন্ধুত্ব, মনুষ্যত্ব আর মানবিকতাকেই জিতিয়ে দিল।
আর্থিক দিক থেকে অসহায় হিন্দু বন্ধু সন্তোষ সিংয়ের মৃত্যুর পর দাহ করার লোক পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ অবধি সেটা করল রাজ্জাক। হ্যাঁ, ধর্মীয় নিয়ম ভেঙেই। শেষকৃত্যে হিন্দু নিয়ম মেনে বন্ধুর অন্ত্যেষ্টির সব কাজ করল রাজ্জাক। মুখাগ্নির সময় দু’চোখে জলে ভরে গেল রাজ্জাকের।
সন্তোষের শেষ কটা দিন বেশ কষ্টে চলছিল। শরীর দিন দিন খারাপ হচ্ছিল সন্তোষের। এদিকে সন্তোষের স্ত্রী ছায়া ও আট বছরের মেয়ের অসহায় অবস্থা। খারাপ দিনে কেউ পাশে ছিল না। একমাত্র দীর্ঘদিনের বন্ধু রাজ্জাক সব সময় পাশে ছিল। মৃত্যুর পরেও সেই বন্ধুর শেষযাত্রার সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। সাম্প্রদায়িকতাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এক অনন্য উদাহরণ তুলে ধরল সে। জিনিউজ২৪।
এসকে/এসএমএম