কোভিডের ত্রাসে ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে থরহরি কম্প। দুই মহাদেশে কার্যত তাণ্ডবলীলা শুরু করেছে সংক্রমণ। এর মধ্যে শুধু ইউরোপেই লক্ষাধিক মানুষ মারা গিয়েছেন যা গোটা পৃথিবীতে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যার তিন ভাগের প্রায় দু’ভাগ।
আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত মারা গেছে ৩৯ হাজার মানুষ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে এক হাজার ৮৯১ জন। আমেরিকায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে সাত লাখ ২৫ হাজার মানুষের। পৃথিবীজুড়ে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ২৩ লাখ ৪১ হাজার মানুষ। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬১ হাজার জনের।
সময় যত এগোচ্ছে ততই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুমিছিল। প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে একের পর এক সংখ্যার রেকর্ড। মৃতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে পৌঁছে গেছে আমেরিকা। এরপর রয়েছে ইতালি (২৩,২২৭), স্পেন (২০,৬৩৯), ফ্রান্স (১৯,৩২৩), ব্রিটেন (১৫,৪৬৪)। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আমেরিকায়। শুধু নিউ ইয়র্কেই ১৩ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত দু’সপ্তাহে এই প্রথম বার নিউ ইয়র্কে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৫৫০-র কম, এ কথা জানিয়েছেন সেখানকার গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
চীনে নতুন করে আরও ১৮ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত ১৭ মার্চের পর নতুন সংক্রমণের এই পরিসংখ্যানটা সবচেয়ে কম। পাকিস্তানে এরই মধ্যে আট হাজার মানুষের করোনা ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দু’হাজার ৪৫৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৯১ জনের। দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আট জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত দু’মাসে সবচেয়ে কম।
করোনা থাবা বসিয়েছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকোর মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতেও। মিশর, নাইজেরিয়া সহ আফ্রিকার একাধিক দেশেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে সেখানে সংক্রমণের হার অনেকটাই কম।
এসএমএম