• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২০, ১০:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০২০, ১০:২২ পিএম

ব্রিটেনে কোভিড চর্চা ফাঁকা পার্লামেন্টে

ব্রিটেনে কোভিড চর্চা ফাঁকা পার্লামেন্টে
ব্রিটেনে হাউস অব কমন্সে দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন এমপিরা ● এএফপি (আনন্দবাজার)

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের জেরে বিশ্বের অনেক প্রথা, ঐতিহ্য ভাঙছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে ছিল প্রধানমন্ত্রীকে সাপ্তাহিক প্রশ্ন করার দিন। কিন্তু কোভিড-আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টে হাজির থাকতে পারেননি। এই ঘটনা ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম।

ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হাউস অব কমন্স ছিল কার্যত ফাঁকা।

বিশ্ব জুড়ে করোনার দাপট কমার লক্ষণ নেই। মৃত্যু মিছিল ও সংক্রমণের ধারা অব্যাহত। 

হাউস অব কমন্সে হাতে গোনা কয়েক জন এমপি উপস্থিত ছিলেন। অনেক জনপ্রতিনিধিই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন।

বরিসের অনুপস্থিতিতে এমপিদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিদেশমন্ত্রী ডমিনিক র‌্যাব।

দেশের কোভিড পরিস্থিতি সরকার কীভাবে মোকাবেলা করছে, তা সবিস্তারে জানান তিনি। তার বক্তৃতায় উঠে আসে পিপিই সহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার প্রসঙ্গও।

তিনি বলেন,  এই পরিস্থিতিতে বিপুল পরিমাণ পিপিই প্রস্তুত করা সব দেশের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়।

তিনি জানান, ব্রিটেনে ব্যাপক হারে করোনা পরীক্ষা হবে। ঠিক করা হয়েছে চলতি মাসের শেষের দিকে দিনে এক লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা হবে।

তিনি জানান, বিদেশে আটকে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের দেশে ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।

বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা-সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ১,৮২,৯৮৯ জন। এর মধ্যে আমেরিকাতেই মারা গেছেন ৪৬ হাজারেরও বেশি লোক। যা মৃত্যু-তালিকার এক-চতুর্থাংশ। 

একটু-একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ইউরোপ, আমেরিকার একাংশ। ছোট ছোট দোকানপাট খুলেছে বার্লিনে। ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতেও কড়াকড়ি কমানো হয়েছে। ফ্রান্সে একটি ফুডচেন সংস্থা খাবার পরিবেশন শুরু করেছে। আমেরিকারও কিছু প্রদেশ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টায়। কিন্তু স্বাভাবিক জীবনে ফেরা যে এখনও দূরের কথা, তা মেনে নিচ্ছেন ব্যবসায়ী কিংবা গ্রাহকরা। কাজ হারানোর দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে মানুষকে। কিন্তু যে সব এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য অল্প করে শুরু হয়েছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন লোকজন।

জর্জিয়ার সাভানায় যেমন জিম, সেলুন খুলে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছেন গভর্নর।  ইতালি, স্পেন, চীন কিংবা আমেরিকার নিউ ইয়র্কের মতো হটস্পট হয়ে ওঠা দেশ বা প্রদেশে এখন দৈনিক মৃত্যুর হার অনেকটাই কমেছে। নতুন করে সংক্রমণও কম হচ্ছে। আনন্দবাজার।

এসএমএম

আরও পড়ুন