• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৩:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০, ০৩:৪৫ পিএম

‘করোনা প্রতিরোধে সফল নিউজিল্যান্ড’

‘করোনা প্রতিরোধে সফল নিউজিল্যান্ড’
জেসিন্ডা আর্ডার্ন

কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকিয়ে কোভিড-১৯ কার্যকরভাবে নির্মূল করা গেছে বলে দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ একক সংখ্যার ঘরে নেমে এসেছে। 

রোববার (২৬ এপ্রিল) দেশটিতে মাত্র একজন নতুন করে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, বর্তমানে ভাইরাসটিকে নির্মূল করা হয়েছে। আমরা এই লড়াইয়ে জিতেছি।

তবে এই ভাইরাসে নির্মূলের ব্যাপারে কর্মকর্তাদের আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এর মানে এই নয়, নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের পুরোপুরি অবসান ঘটেছে।

দেশটিতে করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত সামাজিক বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কিউই প্রধানমন্ত্রী এসব তথ্য জানালেন।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে দেশটির অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হবে।

বিধি-নিষেধ শিথিল হলেও অধিকাংশ মানুষকে এখনও ঘরে বন্দি থাকতে এবং সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে। সরকারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে জেসিন্ডা বলেন, আমরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড খুলে দিচ্ছি, কিন্তু মানুষের সামাজিক জীবন এখনও খোলা যাচ্ছে না।

করোনা মহামারি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাণ্ডব চালালেও নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজারেরও কম। এছাড়া দেশটিতে মারা গেছেন মাত্র ১৯ জন।

ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়ানো গেছে

দেশটির স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড বলেছেন, গত কয়েক দিনে নতুন সংক্রমণ কমে আসায় করোনাভাইরাস দূর করার জন্য সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, আমাদের বিশ্বাস তা আমরা অর্জন করতে পেরেছি।

তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নির্মূলের অর্থ নতুন সংক্রমণ আবার হবে না তা কিন্তু নয়। তবে কোথায় থেকে সেই সংক্রমণ আসবে তা আমরা জানতে পারবো।

আর্ডার্ন বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে ব্যাপক পরিসরে শনাক্তবিহীন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন নেই। আমরা এই লড়াইয়ে জিতেছি। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয়; সেজন্য সবাইকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।

নিউজিল্যান্ডে মাত্র কয়েকজন করোনা রোগী পাওয়া যাওয়ার পর দেশজুড়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ভ্রমণে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সেই সময় দেশের সব সীমান্ত বন্ধ, বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন, কঠোর লকডাউন এবং গণহারে করোনা পরীক্ষা এবং শনাক্তকরণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়।

জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, একেবারে শুরুর দিকেই যদি কঠোর লকডাউন আরোপ না করা হতো; তাহলে নিউজিল্যাণ্ডে দিনে এক হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হতেন। তখন পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারতো তা দেশের কেউ জানতো না। কিন্তু আমাদের ক্রমবর্ধমান কার্যক্রমের কারণে সেই পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে দেশটিতে করোনার কারণে আরোপিত চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনকে তৃতীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। এর অর্থ হচ্ছে- দেশটির রেস্তারাঁ খুলে দেয়া হবে; সেখান থেকে শুধু খাবার অর্ডার করে বাসায় নেয়া যাবে। এছাড়া মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে এমন কোনো কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেয়া হবে না।

দেশটির নাগরিকদের আগের সব বিধি নিষেধ যেমন, ঘনিষ্ঠ বন্ধ এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সংস্পর্শে আসা এবং অন্যান্যেদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় কমপক্ষে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গণজমায়েত নিষিদ্ধ, শপিং সেন্টার বন্ধ এবং অধিকাংশ শিশুই স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে। বন্ধ থাকবে দেশটির সীমান্তও। বিবিসি।

এসএমএম

আরও পড়ুন