উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ১৫ এপ্রিল (বুধবার) তার দাদার জন্মবার্ষিকীতে অংশ না নেয়ার পর থেকে তাকে নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
আন্তর্জাতিক কয়েকটি গণমাধ্যমে তার মৃত্যু নিয়েও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কোনও কোনও মিডিয়ায় বলা হয়েছে হৃৎরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি খুব অসুস্থ আবার কোনও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিনি মারা গেছেন।
এরই মধ্যে সাউথ চায়না মনিং পোস্টে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মনে হয় তিনি প্রকাশ্যে আসছেন না।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর কোরিয়া বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ এপ্রিল কিং জং উন তার দাদার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান মিস করেন অসুস্থতার জন্য নয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তিনি সে অনুষ্ঠানে যাননি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ওই মন্ত্রী বলেন, তারা কিম জং উনের বর্তমান অবস্থান জানেন এবং উত্তর কোরিয়ায় তারা কোনও অস্বাভাবিক গতিবিধি দেখেননি।
এদিকে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে তাদের দেশে এখন পর্যন্ত কোনও করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়নি। তবে তারা করোনা ঠেকাতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেন, কিম জং উন এখন কি করছেন তা তিনি জানেন এবং তিনি ভালো আছেন। কিম জং উনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানলেও এখনই তিনি তা প্রকাশ করবেন না।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বলেছেন, কিম জং উনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তিনি এ বিষয়ে সবসময় আপডেট নিচ্ছেন।
এসএমএম