মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রায় মাসখানেক যমে-মানুষের টানাটানি শেষে যুদ্ধে জয়ী হয়ে নিজের গদিতে বসেছেন তিনি। এবার জানালেন নিজের করোনাযুদ্ধের ভয়াবহ সেই দিনগুলোর অভিজ্ঞতা। বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তার বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
রোববার (৩ মে) দ্য সানকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্বীকার করব না এটা কঠিন স্মৃতি। চিকিৎসকরা আমার মৃত্যু ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
সদ্য বাবা হওয়া বরিস জানান, আইসিইউতে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকরা ‘লিটার-লিটার’অক্সিজেন দেন। আমার শ্বাসনালী দিয়ে টিউব প্রবেশ করানোর সময় বাঁচার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি চলে আসে।
হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে বুধবার (২৯ এপ্রিল) ছেলে সন্তানের মুখ দেখেন বরিস। ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড ল্যারি নিকোলাস জনসন। এত বড় নামের পিছনে কিন্তু ইতিহাস আছে।
পরিবার সূত্রে খবর, এই শিশুর নামের মধ্যেই রয়েছেন সেই দুই চিকিৎসক, যারা প্রাণপণ লড়াই করে বরিস জনসনকে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। নিকোলাস রেখেছেন ড. নিক প্রাইস এবং ড. নিক হার্টের নামানুসারে, যারা গত মাসে তার ‘জীবন রক্ষা করেছেন’।
বরিস গত ২৭ মার্চ করোনা পজিটিভ হন। এর ১০ দিন পর জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো না কমায় তাকে সেন্ট্রাল লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিতে হয় আইসিইউতে। কয়েক দিনের লড়াই শেষে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন তিনি। এনবিসি।
এসএমএম