• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২০, ০১:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০২০, ০১:৩৪ পিএম

দীর্ঘস্থায়ী সংকট হিসেবে রয়ে যাবে করোনা: ডব্লিউএইচও

দীর্ঘস্থায়ী সংকট হিসেবে রয়ে যাবে করোনা: ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমারজেন্সি প্রোগ্রামের প্রধান মাইকেল রায়ান (বাঁয়ে) : ছবি- সংগৃহিত

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারির সমাপ্তি হচ্ছে না। বছরের পর বছর এতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাবে মানুষ। মানবজাতির জন্য দীর্ঘস্থায়ী সংকট হিসেবে কমিউনিটিতে রয়ে যাবে এই ভাইরাস। তাই বিশ্ব নেতাদের এর ওপর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণের একটি বিন্দুতে পৌঁছাতে হবে, যাতে এটা আর মহামারি না থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার এমন কথা জানিয়ে বলেছে, কোভিড-১৯ হবে এইডসের মতো, যা কখনোই শেষ হওয়ার নয়। তাই এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন ভাইরাসটির সংক্রমণ এভাবে ছড়াতে থাকলে তার ফল মারাত্মক হবে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হেলথ ইমারজেন্সি প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ডা. মাইক রায়ান বলেন, ‘বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ভাইরাস মানবজাতির জন্য আরেকটি এনডেমিক (কোনো আঞ্চলিক বা পেশার সঙ্গে যুক্ত রোগবিশেষ) হতে যাচ্ছে। এর প্রাদুর্ভাব হয়তো কখনোই শেষ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি, আমাদের বাস্তববাদী হওয়াটা গুরত্বপূর্ণ। কেননা এই ভাইরাস কবে অদৃশ্য হবে কেউ তা অনুমান করতে পারবে বলে মনে হয় না। এছাড়া কবে এর প্রকোপ দূর হবে তারও কোনো দিনক্ষণ নেই। এই রোগ হয়তো আমাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী এক সমস্যা হিসেবে থেকে যাবে, নাও থাকতে পারে।’

জরুরি বিভাগের ওই প্রধান বলেন, ‘আমাদের নিয়মতান্ত্রিক ঝুঁকি মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্তরে সতর্কতার মাত্রা হ্রাস করতে পারি আমরা। কিন্তু এই মুহুর্তে, ঝুঁকি সর্বোচ্চ বলেই বিবেচনা করছি। সতর্কতার মাত্রা হ্রাস করতে হলে ভাইরাসটির ওপর উল্লেখযোগ্য নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

বিশ্বে করোনার সম্ভাব্য এক শতাধিক ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটির (৮টি) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অর্থাৎ মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে ইতোমধ্যে। কিন্তু ডা. মাইক রায়ান বলছেন, হামসহ অন্যান্য অনেক রোগেরও তো ভ্যাকসিন রয়েছে, কিন্তু সেসব রোগ কিন্তু এখনো নির্মূল হয়ে যায়নি।

এসকে