• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২০, ০১:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০২০, ০১:০০ এএম

ক্ষুধায় প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

ক্ষুধায় প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
ক্ষুধায় মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা ● প্রতীকী

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগে আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা যাবে, এর চেয়েও বেশি মানুষ মারা যেতে পারে সৃষ্ট খাদ্যের অভাবে বা ক্ষুধায়। এ কথা বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, করোনার প্রাদুর্ভাব ক্ষুধা সংকটকে আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। করোনার সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষুধায় প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষ মারা যেতে পারে।

‘দ্য হাঙ্গার ভাইরাস’ শীর্ষক অক্সফামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাপক বেকারত্ব, খাদ্য উৎপাদনে ব্যাহত হওয়া ও মহামারির কারণে সহায়তার কমে যাওয়া-এসব কারণে এ বছর প্রায় ১২ কোটি মানুষ অনাহার পরিস্থিতিতে চলে যেতে পারে।

দাতব্য সংস্থাটি বলছে, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও দক্ষিণ সুদানসহ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দরিদ্র অঞ্চলগুলোতে খাদ্য সংকট আরো বেড়েছে। মহামারির কারণে সীমান্ত ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের পথ বন্ধ হওয়ায় প্রবাসী আয় বিপুল পরিমাণে কমেছে।

প্রতিবেদনে ক্ষুধার উদীয়মান উপকেন্দ্রগুলোও তুলে ধরা হয়েছে। মধ্যম আয়ের দেশ যেমন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল— যেখানে মহামারির কারণে লাখো মানুষ না খেয়ে থাকার মতো পর্যায়ে এসে পড়েছে।

অক্সফাম জিবির প্রধান নির্বাহী ড্যানি শ্রীস্কান্দারাজাহ বলেন, মহামারির প্রভাব ভাইরাসের চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত এবং বিশ্বের লাখো দরিদ্র মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের গভীরে ঠেলে দিয়েছে। সরকারগুলো এখন জাতিসংঘ কোভিড-১৯ আবেদন তহবিলে অর্থায়ন করে এবং মহামারি মোকাবিলায় সংঘাতের অবসান ঘটাতে জীবন বাঁচাতে পারে।

অক্সফাম বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্ধৃতি দিয়ে আশঙ্কা করছে, এই বছর শেষ হওয়ার আগে ক্ষুধায় ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৭ কোটিতে যাবে, যা গত বছর ১৪ দশমিক ৯ কোটি ছিল। এতে বলা হয়েছে, নারীদের নেতৃত্বাধীন পরিবারগুলোর ক্ষুধার্ত থাকার আশঙ্কা বেশি। কারণ তাদের বেশির ভাগই অনানুষ্ঠানিক শ্রমিক। তাদের অবৈতনিক কাজ বেড়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে অক্সফাম জানায়, করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে ৫০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিতে পারে। অক্সফামের দৃষ্টিতে করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক সংকট ২০০৮ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের চেয়েও গভীর। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

কেএপি

আরও পড়ুন