
মিয়ানমারে সেনাবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের ওপর বর্বরোচিত দমন-পীড়ন বন্ধ করতে দেশটির সেনা সরকারের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার থেকে ইকোনমিক করপোরেশন ও মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের ওপর ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা অনুযায়, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান দুইটি যেকোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বা ব্যবসায়িক লেনদেন রাখতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, “মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং সামরিক বাহিনীর বর্বরোচিত দমন-পীড়নে সমর্থনকারীদের অর্থপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাজ্যও।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিকি রাব বলেছেন, “এ ধরনের নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর গণনিপীড়নে ব্যবহৃত অর্থের উৎসে টান পড়বে।”