উপকূলীয় ঝড় সেরোজার প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা আর ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরে অন্তত ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রয়টার্স জানায়, ঝড়ের পর পূর্বাঞ্চলে ভারি বর্ষণের কারণে দুই দেশের দ্বীপগুলোতে রোববার বন্যা সৃষ্টি হয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই রয়েছে স্থানীয়রা।
রোববার ভোরে স্থানীয়রা ঘুম থেকে ওঠার আগেই ভূমিধ্বসের কারণে কাঁদামাটিসহ বন্যার পানি সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ইস্টার সানডের দিন বিপর্যয়ের মুখে পড়েন অনেকেই। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি রাস্তাঘাট আর সেতুগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি সেতু ধসে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্ব এশিয়ার দুইটি দেশে এই ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ত্রিশ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম ও পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৭১ জন।
এছাড়াও পূর্ব তিমুরে বন্যা, ভুমিধসের পাশাপাশি গাছ উপড়ে পড়ে অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছে সাত হাজার মানুষ। ধারণা করা হচ্ছে অনেক মরদেহ বন্যার পানিতে সাগরে ভেসে গেছে।
ঝড়ের কারণে সাগরের পানি ৬ মিটার উঁচুতে প্রবাহিত হচ্ছে। বিরূপ আবহাওয়াতে উদ্ধার কাজ ব্যহত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেশ কিছু নৌকা ডুবিরও ঘটনা ঘটেছে।