১৯২৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির লেনিনের মৃত্যুর পর ১৯২৭ সালে ক্ষমতায় আসেন জোসেফ স্তালিন। এরপর ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত টানা ২৯ বছর সোভিয়েত শাসন করেন এই নেতা।
স্তালিনের নেতৃত্বে ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয় সোভিয়েতরা। সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর এডলফ হিটলারের পতন আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র দেশগুলোর জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। জোসেফ স্তালিনের নেতৃত্বেই বিশ্ব পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বর্তমান রাশিয়া।
দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম শাসনকাল ছিল স্তালিন যুগ। অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আবারও যেন সেই পথেই এগোচ্ছেন আরেক রুশ রাষ্ট্রনায়ক।
স্থানীয় সময় সোমবার (৫ এপ্রিল) রাশিয়ার সংবিধান সংস্কার করে নতুন আইন জারি করেছেন বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর ফলে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট দুইবারের বেশি মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
২০২০ সালে পার্লামেন্টে সংবিধান সংস্কারের এই প্রস্তাব রাখে পুতিনের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়া। পরবর্তীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনে প্রেসিডেন্ট আরও দুই মেয়াদে নির্বাচন করার সুযোগ লাভ করেন। এবার নির্বাহী আদেশে সই করে প্রস্তাবটি আইনে রূপ দিলেন তিনি।
রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী এতোদিন প্রেসিডেন্টদের টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ ছিল না। তাই ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে থাকার পর, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন পুতিন।
এরপর ২০১২ সালে পুনরায় প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন তিনি। নির্বাচনে জয় পান দ্বিতীয় মেয়াদেও। তবে নতুন আইন পাশের ফলে এবার নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে আর কোন বাধা রইলো না।
২০০০ সালে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলস্তিনের স্থলাভিষিক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমানে রুশ প্রেসিডেন্টের বয়স ৬৮ বছর। তাই ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলে দেশটির সাবেক রাষ্ট্রনায়ক জোসেফ স্তালিনের রেকর্ড ভাঙতে পারবেন ৮৪ বছর বয়সী পুতিন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি ও ইন্টারনেট