• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২১, ০২:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০২১, ০২:২১ পিএম

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতনের ৫ কারণ

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতনের ৫ কারণ

বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে ১২ সফরে ১৮টি সমাবেশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তারপরও ভোটের ফলে ভরাডুবি বিজেপির। ২০০-এর বেশি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় দফায় রাজ্যের ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।

ভোটের হিসাব বলছে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ গেরুয়া শিবির। কেন্দ্র ও রাজ্য নেতা থেকে শুরু করে সরকারি দলের কোনো নেতাই প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি কোনো আসনে। শুধু নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়ই একমাত্র প্রাপ্তি।

দুই বাংলায় প্রচার চালিয়েও ফলাফল কেন এমন হলো, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। এদিকে বিজেপির ভরাডুবির পেছনে প্রধান ৫টি কারণ দেখছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

১. যোগ্য নেতৃত্বের অভাব
কেন্দ্রের দল বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে যথেষ্ট পরিশ্রম করলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো জনপ্রতিনিধিকে সামনে তুলে ধরতে পারেনি। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ বিভিন্ন জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন যে বিজেপি জিতলে পশ্চিমবঙ্গের নেতাই হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কে হতে পারেন সেই মুখ্যমন্ত্রী, তার কোনো ইঙ্গিত বা নাম উল্লেখ করেনি বিজেপি নেতারা। এদিকে ১০ বছর ধরে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী থাকা পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই স্থানে অটুট ছিলেন শুরু থেকেই।

২. পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দৃঢ় নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনো নেতা না থাকায় কেন্দ্রের নেতা আর মন্ত্রীদের ওপরেই নির্ভর করে প্রচার চালিয়েছে প্রার্থীরা। অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সদস্যদের ‘বহিরাগত’ উপাধি দিয়েই তাদের ঘায়েল করে রেখেছে তৃণমূল। বিজেপি সমর্থকরা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বিজেপির এই ‘বহিরাগত’ তকমার কারণেই তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছে বাংলার মানুষ।

৩. সবশেষ ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৩টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। আর তাই সেই অবস্থান থেকে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যটা সামর্থ্যের চাইতে অনেক বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অভিজ্ঞতার তুলনায় প্রত্যাশা বেশি ছিল বলেই হতাশ হতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। লোকসভা নির্বাচনের ওপর ভরসা করে বিধানসভায় লড়াই কেবল হারের ব্যবধান বাড়িয়েছে।

৪. তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ভোটে ভাগ বসানোর চেষ্টা করে বিজেপি। নির্বাচনী প্রচারেও তৃণমূলের কঠোর সমালোচনা করেন বিজেপি নেতারা। এছাড়া উপজাতি ও সংখ্যালঘুদের ভোটকেও প্রাধান্য দেয় দলটি। তবে এর ফলে মুসলিমদের ভোট আদায় সম্ভব হলেও রাজ্যের হিন্দু জনগণের সিংহ ভাগ ভোটের পড়েছে তৃণমূলের পক্ষে।

৫. প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে নির্বাচনী জনসভার বক্তব্যেও বিজেপির বেশ কিছু ভুল দেখছেন বিশ্লেষকরা। বিজেপির পুরোনো নেতাদের চাইতে তৃণমূল থেকে আগত প্রার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া দলের কর্মী, সমর্থক এবং ভোটাররা ভালো চোখে নেয়নি বলেই মনে করছে বিজেপির সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন