২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রথম করোনা সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করেছিল চীন। ধারণা করা হয়, উহানের সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকেই এই ভাইরাসটি প্রথমবার ছড়ায়। যদিও উহানের সংক্রামক রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষাগার থেকেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন অনেকে।
এদিকে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকেই ভাইরাসজনিত অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন উহানের সেই ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির তিন গবেষক–এমন তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে মহামারি শুরুর আগেই কীভাবে উহানের গবেষকরা অসুস্থ হয়েছিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এর ফলে করোনার উৎস নিয়ে চীনের তথ্য গোপনের অভিযোগটি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
জানুয়ারিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন করোনার উৎস উদ্ঘাটন নিয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে এক নথিতে উল্লেখ করে, ২০১৯ সালের শরৎকাল অর্থাৎ নভেম্বরের দিকে চীনের ওই তিন গবেষক অসুস্থ হয়েছিলেন।
অসুস্থ হওয়ার তথ্য উল্লেখ থাকলেও, উহানের গবেষকরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল কি না, সে তথ্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্ট এর আগেও এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ওই গবেষকদের হাসপাতালে নেওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছিল।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করোনা উৎস অনুসন্ধানে জাতিসংঘের সঙ্গে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি। এর আগে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ প্রাণী ছাড়াও করোনার অন্যান্য উৎস অনুসন্ধানে তদন্তের আহ্বান জানায়।
তবে উহানের জাতীয় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, ন্যাশনাল বায়োসেফটি ল্যাবের পরিচালক ওয়াশিংটন পোস্টের এসব দাবি অস্বীকার করেছেন। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে।