
রাজস্থানের বুন্দিতে টিকা কেন্দ্রের বাইরে একটি ডাস্টবিনে করোনার অন্তত পাঁচশ টিকা পাওয়া গেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এসব টিকার কোনটিই পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়নি। বেশিরভাগ টিকাই অর্ধেক ব্যবহার করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর রাজ্য সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এক চিঠিতে রাজ্য সরকারকে এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন।
এদিকে বুন্দির স্বাস্থ্যকর্মীরা দাবি করছেন, ভ্যাকসিনের একটি ভায়াল থেকে ১০-১২ জনকে টিকা দেওয়া যায়। আর সব টিকাই পুরোপুরি ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকেন তারা।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত ১১ লাখ ৫০ হাজার ডোজ টিকা নষ্ট করেছে রাজস্থান। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ টিকার ডোজ নষ্ট করেছে রাজস্থান।
সাধারণত টিকার ভায়াল খোলার পর ৪ ঘণ্টা ব্যাবহার করা যায়। এরপর সেটিতে টিকা থাকলেও ব্যবহার করা যায় না। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে টিকা দানে অসতর্কতার কারণেই রাজস্থানে এই ঘটনা ঘটেছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের একটি বর্জ্য ফেলার জায়গা থেকে ভ্যাকসিনসহ ২৯টি সিরিঞ্জ পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী,ভারতের সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩৭ শতাংশ টিকা অপচয় হয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজ্য। তামিলনাডু, জম্মু-কাশ্মীর ও মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও টিকা নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন অপচয় বন্ধে প্রশাসনকে সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।