কোভিড-১৯ মহামারি আরও ১০ কোটি শ্রমিককে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বুধবার (২ জুন) এ কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। কাজের সময় কমে যাওয়া এবং ভালো কাজের সুযোগ নষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ এ কথা বলেছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক রিপোর্টে সতর্ক করে বলেছে, মহামারির কারণে শ্রমবাজারে সৃষ্ট সংকট থেকে উত্তরণ এখনো অনেক দূরের বিষয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে বেকারত্বের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে সাড়ে ২০ কোটি, যা ২০১৯ সালে ছিল ১৮ কোটি ৭০ লাখ। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের আগে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি মহামারির আগের পর্যায়ে পৌঁছাবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
আইএলওর প্রধান গুই রাইদার সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড ১৯ কেবল স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি কর্মসংস্থান ও মানবিক সংকটও।
অনেক লোক চাকরিতে বহাল আছে। কিন্তু নাটকীয়ভাবে তাদের কর্মঘণ্টা কমে গেছে। করোনার কারণে ২০১৯ সালের চতুর্থাংশের তুলনায় ২০২০ সালে কর্মঘণ্টা ৮.৮ শতাংশ কমেছে। বিশ্বে এখনো ১০ কোটি পূর্ণকালীন চাকরির সমান কর্মঘণ্টা কম রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে বৈশ্বিক কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই উত্তরণ সমভাবে ঘটবে না বলে সতর্ক করেছে আইএলও। কারণ, কোভিড-১৯-এর টিকার সমবণ্টন সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বের ৭৫ শতাংশের বেশি টিকার ব্যবহার হচ্ছে মাত্র ১০টি দেশে।
গুই রাইদার সতর্ক করে বলেন, সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ না নিলে কোভিড-১৯-এর কারণে বৈশ্বিক শ্রমবাজারের সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এছাড়া গুই রাইদার আরও বলেন, কেবল স্বাস্থ্য বিষয় নয়, দীর্ঘ মেয়াদে কোভিড-১৯ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকটে রূপ নেবে।
সূত্র: বাসস