সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারির পোস্ট মুছে দেয়ায় টুইটার নিষিদ্ধ করে নাইজেরিয়া। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বের সব দেশকে ফেসবুক ও টুইটার নিসিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও মন্তব্য করেন, ‘হয়তো’ ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই তার এসব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের আধিপত্যের কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ নিতে পারেননি বলেও দাবি করেন এই নেতা।
৪ জুন নাইজেরিয়া সরকার দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য টুইটার বন্ধ করে দেয়। মঙ্গলবার (৮ জুন) এক বিবৃতিতে ট্রাম্প নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্প তার বিবৃতিতে টুইটার প্রেসিডেন্ট বুহারিকে নিষিদ্ধ করায় নাইজেরিয়ায় এই সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করা হয়েছে বলে ভুল তথ্য দিয়েছেন – এমন দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ফোর্বস। ভবিষ্যতে ফেসবুক ও টুইটারের বিকল্প মাধ্যমও আসবে বলে ইঙ্গিত করেন এই রিপাবলিক নেতা।
মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনের ক্যাপিটল হিলের সমর্থকদের হামলার জেরে জানুয়ারিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক ও টুইটার আইডি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এরপর নিজ উদ্যোগে আলাদা সামাজিক মাধ্যম খোলার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম খোলা হলেও সেখানে তেমন কোন সাড়া দেয়নি ভক্তরা।
গত সপ্তাহে ‘ফ্রম দ্য ডেস্ক অব ডোনাল্ড জে ট্রাম্প’ বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেস্ক থেকে নামের এই প্ল্যাটফর্মটিও বন্ধ হয়ে যায়। এই মাধ্যমটি চিরস্থায়ীভাবেই বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান ট্রাম্পের মুখপাত্র জেসন মিলার।
অনেকেই মনে করছেন ভক্তদের সমর্থন না পাওয়া ও প্ল্যাটফর্মটি নিয়ে হাসি-ঠাট্টার কারণে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এনবিসি নিউজকে এক ইমেলের মাধ্যমে মিলার বলেন, “আমরা বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করছি আর এই মাধ্যমটি তার সহায়ক মাত্র। তবে এটি ভবিষ্যতে আর চালু করা হবে না।”
ফেসবুকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের সিদ্ধান্ত এখনো পর্যালোচনাধীন রয়েছে - কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণার পরপরই ট্রাম্পের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মটি চালু করা হয়েছিল।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হতে যাচ্ছেন এই রিপাবলিকান নেতা। সেক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রচারের লক্ষ্যে ট্রাম্প অন্য কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিরতে পারেন কি না, এমন প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তরই দিয়েছেন মিলার।