হাওড়া-হুগলির একাধিক গ্রাম বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যায় বিপর্যস্ত এলাকা গুলি আজ পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকও করবেন তিনি।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যায় ভাসছে গ্রামীণ হাওড়ার একাধিক গ্রাম। ভেঙে গিয়েছে একাধিক নদী বাঁধ। দুর্গাপুর ব্যারেজ সহ একাধিক ড্যাম থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। ফলে সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে গিয়েছে উদয়নারায়ণপুর, আমতা, খানাকুল। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে নদী বাঁধ। ফলে গ্রাম গুলিতে হুহু করে ঢুকছে নদীর জল। জল ঢুকে নষ্ট হয়ে গিয়ছে চাষের জমি। স্কুল বাড়ি গুলিও পুরো জলের তলায়। সড়ক পথও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষের কাছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা নৌকায় করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। গতকালই হাওড়ার বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গর্জে উঠলেন সৌমেন মহাপাত্র। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর কথায়, 'কেন্দ্র ইচ্ছে করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে দিল রাজ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য আমতা, উদয়নারায়ণপুর বন্যায় ভাসছে। কিছুতেই কেন্দ্র দু’দিনে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে না। পলি তোলার দরকার, তাও করে না।'
যদিও সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রর যুক্তি সম্পূর্ণ ভুল বলে জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীই এর আগে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী ছিলেন। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। স্থায়ী পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি তাই ডিভিসি জল ছাড়লেই আর টানা বৃষ্টি হলেই দামোদরের তীরবর্তী সব গ্রাম জলের তলায় চলে যায়। সেচ দপ্তর কোনও কাজ করে না।'
সূত্রঃ আজকাল।
জাগরণ/এসকেএইচ