ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর ক্যাডেট পদের জন্য আবেদনকারী নারীদের ‘কুমারীত্ব পরীক্ষার’ একটি নিয়ম ১৯৬৫ সাল থেকে চলে আসছিল। এ নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও এ নিয়ম চালু ছিল।
অবশেষে বিতর্কিত চর্চার ইতি টানতে যাচ্ছে দেশটি। দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ আনদিকা পেরকাসা বিতর্কিত এই নিয়োগ পদ্ধতির অবসানের ঘোষণা দিয়েছেন।
সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা। যারা সামরিক বাহিনীতে নারীদের নিয়োগে কুমারীত্ব পরীক্ষার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন।
১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার কমিশন এই নিয়মকে বেআইনি ঘোষণা করে। পরে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ২০১৪ সালে এক তদন্তের পর দেশটির টু ফিঙ্গার টেস্ট নামের এই পদ্ধতিকে ‘অবমাননাকর, নিপীড়নমূলক এবং নিষ্ঠুর’ বলে নিন্দা জানিয়ে অবসানের দাবি জানায়। ২০১৭ সালেও ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রতি ফের বিতর্কিত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের আহ্বান জানায় এইচআরডব্লিউ।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ আনদিকা পেরকাসা বলেছেন, সেনাবাহিনীতে এ ধরনের আর কোনও পরীক্ষা হবে না। হাইমেন পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে ছিঁড়ে গেছে কি-না তা পরীক্ষার অংশ ছিল... এখন এটি আর পরীক্ষা হবে না।
চিফ অব স্টাফের এই মন্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র। গত সপ্তাহে আনদিকা বলেছিলেন, সেনাবাহিনীতে নারী এবং পুরুষের নিয়োগের প্রক্রিয়া অবশ্যই এক হতে হবে। রয়টার্স।
জাগরণ/এমএ