মহামারির কারণে প্রেমিক ও প্রেমিকারা একে ওপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। লকডাউনের ফলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যে প্রেমিক ও প্রেমিকারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পারছে না। এই সময় রোমান্স করার জন্য তাদের সবার একমাত্র ভরসা ভিডিও কল।
সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক তরুণীকে ভিডিও কলে রোমান্স করতে গিয়ে যেতে হয়েছে হাসপাতালে।
জানা যায়, ঐ তরুণী ইংল্যান্ডের সেন্ট্রাল লন্ডনের বাসিন্দা। নাম তার রোজি সানসাইন। বয়স ২১ বছর। রোজি তার লং ডিস্ট্যান্স বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন।আস্তে আস্তে তাদের ভিডিও কল রোম্যান্টিক হওয়া শুরু করে। রোজি সেই রোমাঞ্চ আরো বাড়ানোর জন্য অ্যাডাল্ট টয় ব্যবহার করা শুরু করেন। তবে এই অ্যাডাল্ট টয় রোজির সমস্যার প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
রোজি সানসাইন ভিডিও কলে রোমান্স করার সময় ব্যবহার করছিল অ্যাডাল্ট টয়। সেই সময় রোজির গোপন অঙ্গ দিয়ে শরীরের ভেতরে ঢুকে যায় সেই অ্যাডাল্ট টয়। অনেক চেষ্টার পরেও রোজি যখন সেই অ্যাডাল্ট টয় বার করতে পারেন না, তখন তিনি তার ফ্ল্যাটমেটের সঙ্গে হাসপাতালে যান।
হাসপাতালের ডাক্তার যখন এক্সরে করেন, তখন দেখা যায় যে তার শরীরের ভেতরে রয়েছে ১০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ৪ সেন্টিমিটার চওড়া সিলিকন টয়। যা দেখে রোজি নিজেও হতভম্ব হয়ে যান। তবে ডাক্তার কোনো সার্জারি ছাড়াই ম্যানুয়ালি সেই অ্যাডাল্ট টয় রোজির শরীর থেকে বের করে আনেন।
রোজি জানিয়েছেন, তিনি অনেকভাবে সেই অ্যাডাল্ট টয় বের করার চেষ্টা করেন। যখন আরো খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তখন তিনি তার ফ্ল্যাটমেটকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন।
চিকিৎসকরা জানান, যে যদি সঠিক সময়ে সেই অ্যাডাল্ট টয় বের না করা যেত তাহলে আরো বড়সড় বিপদ ঘটে যেত।
সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট
এমইউ