করোনার আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের পরে এবার ‘নিওকোভ’ নামে করোনার আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যেটি পূর্বের সব ধরণগুলোর থেকে বেশি প্রাণঘাতী। চীনের গবেষকদের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকার বাদুড়ের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে নিওকোভ নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন।
চীনের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সার্স-কোভ-২ বা মূল করোনাভাইরাসের একটি রূপান্তরিত ধরনের সন্ধান পেয়েছেন। নতুন এই ভাইরাসটির বৈজ্ঞানিক নাম পিডিএফ-২১৮০-কোভ, তবে সাধারণভাবে এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিও কোভ’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, নিওকোভ নামের এই ধরনটি মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে হলে এই ভাইরাসটি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। তবে এরপরই উদ্বেগ বাড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী দিনে করোনার এই নতুন ধরন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ালে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ মানুষের শরীরে আসা ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগই আসে কোনো না কোনো পশু থেকে। করোনাভাইরাসও বিভিন্ন প্রাণির শরীরে দেখা যায়।
নিওকোভ নতুন ভাইরাস নয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এই ভাইরাসের সংক্রমণ চোখে পড়তো। এই ভাইরাসটি সাধারণত মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না। মূলত পশুপাখির শরীরেই এর সংক্রমণ দেখা যেতো। প্রথমে এই ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়।
উহান বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের গবেষকদের দাবি, আর মাত্র একবার মিউটেশন হলেই এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ভাইরাসে মৃত্যু হার ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি তিনজন সংক্রমিতের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
ইউএম