
দিন দিন বেড়েই চলছে করোনার হিংস্র থাবা।আর এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহারে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা গেছে মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমেই ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব।ফলে গত দু’বছর ধরে মাস্কের ব্যবহারের পরিমাণও বেড়েছে কয়েকগুণ।কিন্তু এবার নতুন ধরণের মাস্ক আবিষ্কার করে সবার নজরে দক্ষিণ কোরিয়া। মাস্কের পরিবর্তে তারা আবিষ্কার করেছে ‘কোস্ক’।
মাস্ক ব্যবহারে নাক ও মুখ ঢেকে রাখার কথা থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়ার আবিষ্কৃত এই মাস্কে শুধু নাক ঢাকা থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘কো’মানে নাক। ‘কো’ আর ‘মাস্ক’মিলে হয়েছে ‘কোস্ক’। গোটা বিশ্বের নজরে এখন এই মাস্কই।
এই মাস্কে শুধু নাকের অংশটি ঢাকা থাকে। খোলা থাকে মুখ। তবে এর ভিতরে একটি অংশ রয়েছে, যেটি ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। দরকার হলে সেটি খুলে নিয়ে মুখও ঢেকে রাখা সম্ভব।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মাস্কটি খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।এর কারণ হিসেবে ব্যবহারকারীরা বলছেন, এই মাস্কটি পরে থাকা অবস্থায় সহজেই খাওয়া দাওয়া করা সম্ভব। কিন্তু অন্য মাস্কের বেলায় সেটি খুলে খাওয়া দাওয়া করতে হয়।
ইতোমধ্যে ‘কোস্ক’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রকমের মতামত প্রকাশ করছে বিভিন্ন মানুষ। অনেকেই বলছেন আদৌ কি এটি কোনো কাজে লাগে? নাকি পুরোটাই ব্যবসায়িক মনোভাব থেকে করা?
অনেকে বলছেন, কোস্কের মাধ্যমে দুটো কাজই একসঙ্গে সম্ভব।চাইলে মুখ ঢেকে রাখা যায় আবার খাওয়ার সময় শুধু নাক ঢেকে মুখ খুলেও খাওয়া যায়।ফলে তাতে কিছুটা হলেও বাড়তি সুরক্ষা পাওয়া যাচ্ছে, যা অন্য মাস্কের বেলায় সম্ভব না।
আবার অনেকে বলছেন, পুরোটাই ব্যবসা। কারণ এই মাস্কটি পরে অনেকেই সব সময় মুখ খুলে রাখছেন। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কেউ বলছেন এটি শুধুই ফ্যাশন। কেউ বলছেন নজর কাড়ার জন্য তৈরি হয়েছে এটি।
সূত্র: গার্ডিয়ান।
ইউএম