হিজাব পরার কারণে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ছাত্রীদের। কলেজ গেটেই আটকে দেওয়া হয়েছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকের এক কলেজে।
এ বিষয়ে কর্ণাটকের সরকার স্কুল ও কলেজে মেয়েদের হিজাব পরার বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়ে জানিয়েছে, যে পোশাক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সমতার পরিপন্থি সে পোশাক পরা যাবে না। কর্ণাটকে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়ার ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে কিছুটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনার পরই এমন নির্দেশনা দিল কর্ণাটকের সরকার ।
কর্ণাটক সরকার জানিয়েছে, শিক্ষানীতি অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থীকে স্কুল কর্তৃক নির্ধারিত একই পোশাক পরে শ্রেণিকক্ষে আসতে হবে। কারণ তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা কেমন পোশাক পড়বে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করবে।
উদুপি সরকারি স্কুলের পাঁচজন ছাত্রী হিজাব নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারে রাজ্যটির হাইকোর্ট। জিও টিভির তথ্য অনুযায়ী ক্ষমতাসীন বিজেপি বলেছে, তার ভারতের স্কুল-কলেজগুলোকে তালেবানি হতে দেবে না। অন্যদিকে মুসলিম ছাত্রীদের এ আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি কিছু ছাত্রী হিজাব পরে কলেজে আসলে এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ছাত্রীরা হিজাব পরে আসায় কলেজের শতাধিক ছাত্র গেরুয়া চাদর পরে কলেজে আসে। এ সময় ছাত্রীদের কলেজ গেটেই আটকে দেওয়া হয়।
এনডিটিভির খবরে জানায়, এক মাস আগে উদুপুরের পিইউ গার্লস কলেজে প্রথম ঘটেছিল এই ঘটনা। ওই কলেজটির ছাত্রীরা হিজাব পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নেওয়ার জন্য সংগাম চালিয়ে যাচ্ছে। কলেজটির একজন ছাত্র হিজাব, হেডস্কার্ফ পরে শ্রেণিকক্ষে অংশ নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।কর্ণাটকে হিজাব পরার কারণে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা আগেও একবার ঘটেছিল। এটি দ্বিতীয়।
সূত্র: জিও টিভি, দ্য নিউ আরব