জাতিসংঘ জানিয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষে এডেনে ফেরার পথে ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চল থেকে তাদের ৫ কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আবিয়ান থেকে এ ৫ জনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরদিন ইয়েমেনে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তার মুখপাত্র রাসেল গিকি নিশ্চিত করেন।
তাদের মুক্তি নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে জাতিসংঘ, বলেছেন তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে জাতিসংঘের এই কর্মীদের কারা অপহরণ করতে পারে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে সে বিষয়ে কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। তবে ইয়েমেনি কর্মকর্তারা এই অপহরণের জন্য আল-কায়েদা জঙ্গিদের সন্দেহ করছেন বলে জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
অপহৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই ইয়েমেনি, একজন অন্য দেশের নাগরিক। তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বলেছেন নাম প্রকাশ করতে রাজি না হওয়া ওই কর্মকর্তারা।
অপহরণকারীরা এই ৫ কর্মীর জন্য মুক্তিপণ এবং কারাবন্দি কয়েক জঙ্গির মু্ক্তি চেয়েছে বলেও জানা গেছে।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই বিচ্ছিন্নতাবাদী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) নিয়ন্ত্রণে। তারা এই অপহরণকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অ্যাখ্যা দিয়েছে। পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে ইরান সমর্থিত হুতিদের সঙ্গে ২০১৫ থেকেই সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের তুমুল লড়াই চলছে।
রাজধানী সানা থেকে সৌদি সমর্থিত সরকারকে হুতিরা উৎখাত করার পর ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, ২০১৫ সালে রিয়াদ ও তার মিত্ররা ওই গৃহযুদ্ধেই হস্তক্ষেপ করে বসে। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ নেওয়া, লাখো মানুষকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করা সংঘাতের কারণে দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয়ও দেখা দিয়েছে।
জাগরণ/আরকে