আফগানিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী খালিদ পাইয়েন্দা এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে উবার চালাচ্ছেন।
আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আশরাফ ঘানি সরকারের পতনের ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। তৎকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট ঘানিসহ অনেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী খালিদ পাইয়েন্দাও ছিলেন।
জীবিকার তাগিদে আফগানিস্তানের সাবেক এই অর্থমন্ত্রী এখন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে উবার চালাচ্ছেন। তালেবানের আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকদিন আগে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন খালিদ।
প্রেসিডেন্ট ঘানির সঙ্গে সম্পর্ক অবনতির কারণে পদত্যাগ করেছিলেন খালিদ। প্রেসিডেন্ট ঘানির নির্দেশে গ্রেপ্তার হওয়ার শঙ্কায় দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন খালিদের পরিবারের সদস্যরা।
তালেবান যোদ্ধাদের কাবুলে অগ্রসর হতে দেখে এরও কয়েক দিন আগেই দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পালিয়ে যান তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। সঙ্গে নিয়ে যান রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। কিন্তু ঘানি সরকারেরই অর্থমন্ত্রী খালিদ তা করেননি।
মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে খালিদ জানান, ঘানি সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আফগানিস্তানকে সহায়তা হিসেবে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁর। অথচ মাত্র ১৫০ ডলার আয় করতে গত সপ্তাহে এক রাতে ছয় ঘণ্টা উবার চালান খালিদ পাইয়েন্দা। তিনি বলেন, ‘আগামী দুদিনে যদি ৫০ ট্রিপ দিতে পারি, তাহলে ৯৫ ডলার বোনাস পাব।’
ওয়াশিংটনে কীভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই গল্প এক যাত্রীকে বলেন খালিদ পাইয়েন্দা। তিনি বলেন, পরিবারকে সাহায্য করার এ সুযোগ পেয়ে তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তবে একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমার কোনো ঠিকানা নেই। অবস্থা এমনই দাঁড়িয়েছে, এখন আমি এখানকার কেউ নই, আবার সেখানকারও কেউ নই। একটা নিদারুণ শূন্যতাবোধ কাজ করে।’
ইউএম