ভারতের কর্ণটকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূর্বে হিজাব খুলে বাধ্য করা হলো। পরীক্ষার দিন রাজ্যের হুবলি জেলার একছাত্রী বোরখা পরে আসায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং স্কুলড্রেস পরে পরীক্ষা দিতে আসতে বলা হয়।

সোমবার (২৭ মার্চ) দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে হিজাবের বিষয়ে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্রে বলেন, কেউ হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করলে তাকে পরীক্ষা লেখার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা ধারওয়াদ মোহন কুমার জানায়, ওই শিক্ষার্থী সিভিল ড্রেস পরে পরীক্ষা দিতে এসেছিল তাই তাকে স্কুলড্রেস পরে বোরখা খুলে আসতে বলা হয়। এই জন্য তাকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। আমরা তাকে উচ্চ আদালতের আদেশের কাথা স্বরণ করিয়ে দেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনও শিক্ষার্থী নিয়ম লঙ্ঘন করলে আমরা তার সঙ্গে আপস করব না। প্রত্যেকের উচিত উচ্চ আদালতের আদেশ মান্য করা। ছাত্রদের হিজাব খুলেই পরীক্ষা দিতে হবে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ বলেন, সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করলে পুলিশ স্বাভাবিকভাবেই ব্যবস্থা নেবে। আমি নিশ্চিত যে কোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের কাজ করবে না এবং তারা নির্বিঘ্নে আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

এবার কর্ণটকে ৮ লাখ ৭৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তবে, কিছু মুসলিম মেয়ে হিজাবের প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দিয়েছে।

এদিকে, বাগালকোট জেলায় এমনি ঘটনায় এক স্কুলছাত্রীকে বোরখা পরিবর্তন করতে বললে সে পরীক্ষায় অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দেয়।

উল্লেখ্য, কর্ণাটক হাইকোর্ট চলতি মাসের শুরুতে জানিয়েছে, হিজাব কোনও অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয় এবং প্রত্যেকেরই তাদের স্কুল বা কলেজ দ্বারা নির্ধারিত পোষাক কোড মেনে চলতে হবে।

সূত্র : এনডিটিভি
ইউএম