• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০৭:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২২, ০৭:১০ পিএম

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া

গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া

রাশিয়ার শর্ত মেনে না নেওয়ায় ইউক্রেনের মিত্র দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিবিসির লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি নিতে হলে ডলারের বদলে রাশিয়ান মুদ্রা রুবলে অর্থ পরিশোধের ঘোষণা দেয় মস্কো। অন্যথায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে মস্কোর এমন শর্তে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া। এরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিলো মস্কো।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াকে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। তবে মস্কোর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলেও আপাতত বিপদে পড়তে হচ্ছে না পোল্যান্ডকে। কারণ তাদের ভূগর্ভস্থ রিজার্ভে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া বলছে, তারা গ্যাসের বিকল্প উৎসের জন্য চেষ্টা করছে। রাশিয়ার নতুন পেমেন্ট সিস্টেমকে বর্তমান চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দেশটি।

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। 

সূত্র : বিবিসি, ডয়সে ভেলে
ইউএম