ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে শনিবার (৭ মে) মধ্যরাতে একটি কলোনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। তবে তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এটি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টিইমসের খবরে বলা হয়, ইন্দোরের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের নাম শুভম দীক্ষিত (২৭)। তিনি সঞ্জয় নামেও পরিচিত। মূলত প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই প্রেমিকার ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন শুভম। তবে ওই তরুণী ও তার মাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ইন্দোরের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা সম্পত উপাধ্যায় এনডিটিভিকে জানান, পার্কিং এলাকা থেকে সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে শনিবার রাত ২টা ৫৫ মিনিটে সঞ্জয় ওই ভবনে প্রবেশ করেন এবং একটি স্কুটিতে কিছু একটা ঢেলে দিতে দেখা যায় তাকে।
পুলিশ জানায়, ওই স্কুটি তার প্রেমিকার ছিল বলে জানা গেছে। সেখান থেকে পার্কিংয়ে থাকা অন্য যানবাহনেও আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে দগ্ধ হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত সঞ্জয় ঝাঁসির বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে ইন্দোরের একটি বাড়িতে থাকতেন। প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু কয়েক মাস আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান সঞ্জয়। এরপরই মেয়েটির অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা শুরু হয়। তা জানতে পেরেই ক্ষুব্ধ হন সঞ্জয়।
রাতে প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া হয় সঞ্জয়ের। এরপরই সে ভবনের নিচে থাকা প্রেমিকার স্কুটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে এবং সাতজন প্রাণ হারান।
ইউএম