যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বৃদ্ধির শঙ্কা এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় আরও শক্তিশালী হয় ডলার। আমেরিকার মুদ্রার দরবৃদ্ধির অর্থ হলো তেল কিনতে অন্য মুদ্রা আরও বেশি ব্যয় করা। এর ফলে স্বাভাবিক কারণেই তেলের চাহিদা কমে যায়।
অন্য মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের দর আরও বাড়া এবং চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা হ্রাসের শঙ্কায় বিশ্ববাজারে কমেছে তেলের দাম।
মঙ্গলবার ব্রেন্টের ভবিষ্যৎ চালানের অশোধিত তেলের দর ২৭ সেন্ট বা দশমিক ৩ শতাংশ কমে ব্যারেলে দাঁড়িয়েছে ৯৫ ডলার ৯২ সেন্টে। আগের সেশনে পণ্যটির দাম কমেছিল ১ ডলার ৭৩ সেন্ট।
অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের অশোধিত তেলের দাম ৪০ সেন্ট বা দশমিক ৪ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৯০ ডলার ৭৩ সেন্টে। আগের সেশনে পণ্যটির দাম কমেছিল ১ ডলার ৫১ সেন্ট।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার বৃদ্ধির শঙ্কা এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর তুলনায় আরও শক্তিশালী হয় ডলার।
ডলারের দরবৃদ্ধির অর্থ হলো তেল কিনতে অন্য মুদ্রা আরও বেশি ব্যয় করা। এর ফলে স্বাভাবিক কারণেই তেলের চাহিদা কমে যায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার আর বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপ বা এএনজেডের বিশ্লেষকদের এক বার্তায় বলা হয়, ‘কর্মসংস্থানের ডেটা ইতিবাচক হওয়ায় আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকে সুদহার ৭৫ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাতে করে তেলের বৈশ্বিক চাহিদা নিম্নমুখী হতে পারে।’
বিশ্লেষকদের ভাষ্য, চীনে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বার্ষিক সম্মেলনের আগে নেয়া ‘জিরো কোভিড-১৯’ নীতির কারণেও বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা নিম্নমুখী।