দক্ষিণ মিসরের হাথোর মন্দিরের কাছে মাটি খুঁড়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা স্ফিংসের একটি হাস্যোজ্জ্বল মূর্তি আবিষ্কার করেছেন।
সোমবার (৬ মার্চ) মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য জানায়।
মূর্তিটির পাশে হায়ারোগ্লিফিক অক্ষরে লেখা সম্বলিত একটি প্রস্তরখণ্ডও পাওয়া গেছে বলেও জানানো হয়।
হাথোর মন্দির মিসরের সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন স্থানগুলোর মধ্যে একটি। স্ফিংস হলো গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর একটি চরিত্র যার মাথা অনেকটা নারীদের মতো, শরীর অনেকটা সিংহের মতো এবং ঈগলের মতো ডানা আছে।
আবিষ্কৃত মূর্তিটির হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং দুই পাশের গালে টোল আছে। মিসরীয় গবেষকদের মতে, মুখে টোল সংবলিত মূর্তিটি প্রাচীন রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের হতে পারে। মূর্তিটির পাশে পাওয়া প্রস্তরখণ্ডের লেখার অর্থ উদঘাটন করা গেলে এটি কার ভাস্কর ও তৈরির সময়কাল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে মিসরীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।
গত জানুয়ারি মাসেই দেশটির দক্ষিণে আঠারোশ’ বছরের পুরনো রোমান যুগের একটি সম্পূর্ণ আবাসিক শহর আবিষ্কারের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া প্রায়ই মিসরে প্রাচীন যুগের বিভিন্ন মূর্তি ও নিদর্শনের খোঁজ পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মিসরের এসব প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার দেশটির গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পর্যটন শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করবে। বিবিসি।
জাগরণ/আন্তর্জাতিক/এসএসকে