• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ১২:০৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ১২:০৪ এএম

জ্বালানি তেলের দাম কমে ৮০ ডলারের নিচে

জ্বালানি তেলের দাম কমে ৮০ ডলারের নিচে
ছবি ● সংগৃহীত

ওপেক প্লাসের জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে তেলের দাম।

শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রতি ব্যারেলে ২ শতাংশের বেশি কমে ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। এতে ওপেক প্লাসের তেলের সরবরাহ কমানোর পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর পাশাপাশি তারা উদ্বিগ্ন বৈশ্বিক পণ্য উৎপাদন কর্মকাণ্ড নিয়েও।

ফেব্রুয়ারি মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম ১ দশমিক ৯৮ ডলার বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে দাম নেমেছে ৭৮ দশমিক ৮৮ ডলারে। একই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৮৯ ডলার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে নেমে যায় ৭৪ দশমিক শূন্য ৭ ডলারে।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ২ দশমিক ১ শতাংশ পড়ে যায়। অপরদিকে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামে কমে যায় ১ দশমিক ৯ শতাংশেও বেশি।

বিশ্বের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ‘দ্য অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম কান্ট্রিস’ যা ওপেক নামে পরিচিত। আবার ওপেকের বাইরে অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশ ও ওপেক সদস্যদের একত্রে ওপেক প্লাস নামে অভিহিত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) তেল উত্তোলনকারী দেশগুলো তেল উৎপাদন কতটা অব্যাহত রাখবে, সে বিষয়ে আলোচনা বসে। এসময় ওপেক প্লাসের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে দৈনিক প্রায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম সরবরাহ করা হবে। এর মধ্যে সৌদি আরব ও রাশিয়া স্বেচ্ছায় দৈনিক ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কম উৎপাদনের বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা ওপেক প্লাসের এ ঘোষণা নিয়ে কিছুটা সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়ে ওএনডিএ’র বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা হয়তো ধারণা করছেন যে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো ওপেক প্লাসের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না বা তারা হয় তো মনে করে যে এ পরিমাণ তেল উৎপাদন কমানো যথেষ্ট নয়।

ওপেক প্লাসের সদস্য দেশগুলো বিশ্ববাজারে ৪০ শতাংশেও বেশি তেল সরবরাহ করে থাকে। জ্বালানি তেলের চাহিদার ওপর বৈশ্বিক মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রভাবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম প্রায় ৯৮ ডলারে নেমে যায়। ফলে জোটটি উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রয়টার্স।

জাগরণ/জ্বালানি/কেএপি