দেইর আল বালা এলাকায় সাগরতীরের এক অ্যাপার্টমেন্টে স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ৩৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী ইয়াদ সালেহ।
বুধবার দুপুরের খাবারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবারটি। এমন সময় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে বাড়িটিতে। মুহূর্তেই লাশে পরিণত হন ইয়াদ সালেহ (৩৩), তার গর্ভবতী স্ত্রী ও ছোট্ট শিশু নাগাম।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হামলার পর বিধ্বস্ত বাড়িটির মর্মান্তিক দৃশ্য। বিস্ফোরণে ইয়াদ সালেহর পরিবারের শোবার ঘরটি ভেঙে পড়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাওয়া গেছে শিশু নাগামের দুমড়েমুচড়ে যাওয়া লাল রঙের সাইকেল আর ফ্রিজ থেকে ছিটকে পড়া টমেটো।
এমন মৃত্যু হয়তো হয়তো কল্পনাও করেনি নিহত পরিবারটি। বিদ্রোহীদের দমনের নামে ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ দাবি করছে নিহতদের স্বজন ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
ইয়াদ সালেহর ছোট ভাই ওমর সালেহ জানান, ১৪ বছর ধরে হাঁটতে পারতেন না তিনি। হুইল চেয়ারে করেই চলতে হতো সবসময়। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বা কোন সামরিক গোষ্ঠীর সঙ্গেও যুক্ত নন ইয়াদ। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে নিজের নিরপরাধ ভাই ও তার পরিবারকে হত্যার বিচার দাবি করছেন ওমর সালেহ।
‘সামরিক লক্ষ্যবস্তু’-তে আক্রমণের দাবি করে ১০ মে থেকে গাজায় অনবরত বিমান হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত গাজায় ২২৭ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।