পূর্বাহ্ণে সুমসাম নীরবতায়
দিবাকরের শান্ত-স্নিগ্ধ কোমল আলোয়
নূপুরের ঝংকারে ছুটে এসে বলে যায়—
সুপ্রভাত।
সুস্বন সে ধ্বনি তরঙ্গময় সুরধারায়
অবগাহনের ডাক দিয়ে যায়।
মধ্যাহ্নের তপ্ত রোদে বিক্ষিপ্ত হৃদয়ে
বালুতটে আছড়ে পড়া ঢেউ
শোনাতে চায় পাড় ভাঙা হৃদয়ের গল্প
আনন্দোল্লাসের শোরে চাপা পড়ে যায়
জোয়ার-ভাটায় ধুয়ে মুছে যায়
আবর্জনা যত।
অপরাহ্ণে তার সুস্মিত হাসিতে বলে যায়
রাতের আঁধারে এসো—বিষাদের বিসর্জন দিয়ে যেও।
বন্ধু ভেবে সঞ্চিত করে গোপন রাখা কথা
দূর থেকে শোনা যায় আহরিত
সে ব্যথার গর্জন,
বিন্দু বিন্দু অশ্রুজলে হয়ে ওঠে
নোনাজলের আধার—লবণাম্বুরাশি!