• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৮, ২০১৯, ০২:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৮, ২০১৯, ০২:৫২ পিএম

দুধেও বিষের ভয়, জড়িতদের চিহ্নিতে ১৬ সদস্যের কমিটি

দুধেও বিষের ভয়, জড়িতদের চিহ্নিতে ১৬ সদস্যের কমিটি

দুধ-দইয়ে অনুজীব, কীটনাশক ও সীসার বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে হাইকোর্টকে তাদের গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। আদালতকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ ৮ মে, বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ বিষয় অবহিত করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার ও দৈনিক কালের কণ্ঠে দুধ-দইয়ে অ্যান্টবায়োটিক অনুজীব, কীটনাশক, সিসা, Lead, pesticides in milk, গরুর দুধেও বিষের ভয়, শিরোনামে রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়েছিল এবং তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছিল। আজ কোর্টে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে জানানো হয় তারা ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে কার্যক্রম শুরু করেছে। কারা এর সঙ্গে জড়িত- তাদেরকে চিহ্নিত করে কোর্ট রিপোর্ট দিতে বলেছে এবং আগামী ১৫ মে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেছে।

আইনজীবী জানান, আজ ফুড সেফটি অথরিটির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে সৈয়দ মামুন মাহবুবের অসুস্থতার কারণে আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান এক সপ্তাহের সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত বিষয়টি অবগত হয়ে আদালত দুধ ও দইয়ের উৎপাদনকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না- সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল করে কারণ জানতে চান। এই মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হলো- এর অগ্রগতি প্রতিবেদন জানতে আদেশ দেয়। রুলের বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খাদ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ও কৃষি সচিব চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিবেন। একই সময়ে দুদকের চেয়ারম্যান এই বিষয়ে কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন তা-ও জানানোর আদেশ হয়।    

উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি তাদের এক গবেষণা তথ্য অনুযায়ী গরুর দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, দইয়ে ক্ষতিকর সিসা ও গোখাদ্যেও মাত্রারিক্ত কীটনাশকসহ নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে বলে জানান। এই বিষয়গুলো মানবদেহের দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক, মানুষের কিডনি, যকৃতসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, এই কারণেই আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থে এই রুল জারি করেছিলেন।

এমএ/ এফসি