• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
প্রকাশিত: মে ১৬, ২০১৯, ০৩:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৬, ২০১৯, ০৯:৫৯ পিএম

রাজধানীর ৫৯ এলাকার পানি বেশি দূষিত, হাইকোর্টে প্রতিবেদন

রাজধানীর ৫৯ এলাকার পানি বেশি দূষিত, হাইকোর্টে প্রতিবেদন


রাজধানীর ১০টি জোনের ৫৯টি এলাকায় ওয়াসার পানি বেশি দূষিত বলে হাইকোর্টকে অবহিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) তিনি আদালতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

আদালত থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ওয়াসার দেয়া প্রতিবেদন আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ঢাকার ১০টি জোনে ৫৯ এলাকায় ওয়াসার পানি বেশি দূষিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে ১ নম্বর জোনে রয়েছে, যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকনগর, মান্ডা, ধোলাইপাড় ও মাতুয়াইল। ২ নম্বর জোনে আছে বাঘলপুর, লালবাগ, বকসি বাজার ও শহীদনগর। ৩ নম্বর জোনে জিগাতলা, ধানমণ্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভুতের গলি ও মোহাম্মদপুর। ৪ নম্বর জোনে শেওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর। ৫ নম্বর জোনে মহাখালী ও তেজগাঁও। ৬ নম্বর জোনে সিদ্ধেশ্বরী শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াতোলা, রামপুরা, মালিবাগ ও পরিবাগ।৭ নম্বর জোনে কদমতলী, ধনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও মুসলিম নগর। ৮ নম্বর জোনে বাড্ডা, আফতাব নগর, বসুন্ধরা ও ভাটারা। ৯ নম্বর জোনে উত্তরা, খিলক্ষেত, ফায়েদাবাদ, মোল্লার টেক ও রানা গোলা। ১০ নম্বর জোনে কাফরুল, কাজীপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত ও পল্লবী।

এর আগে গত সোমবার ঢাকা ওয়াসার অনিরাপদ পানি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওয়াসার পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তখন আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসার ১১টি পানির জোন রয়েছে। প্রত্যেকটি থেকে দুই বোতল পানি নিয়েই তো পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু কোনো কথাই শুনছে না স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। তারা (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছে।’

শুনানিকালে আদালতে রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদের কাছে অনিরাপদ পানি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বেশ কিছু প্রতিবেদন তিনি আদালতের কাছে তুলে ধরেন। ওইসব প্রতিবেদনে ঢাকার ১৬টি এলাকার ওয়াসার পানি ব্যবহারের একেবারে অনুপযোগী বলে তথ্য উঠে আসে।

এরপর পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা প্রতিবেদন আকারে দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন ওয়াসার পক্ষ থেকে খরচ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলে ৭ দিন সময় চাওয়া হয়। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বুধবারের (১৫ মে) মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত বলেন, বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল না করলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে তলব করা হবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ অনিরাপদ উৎসের পানি পান করে। ৪১ শতাংশ পানির নিরাপদ উৎসগুলোতে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। ১৩ শতাংশ পানিতে রয়েছে আর্সেনিক। পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৮২ শতাংশ।

এমএ/একেএস/আরআই