• ঢাকা
  • বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৫:২০ পিএম

অজুহাত নয়, বিশুদ্ধ দুধ চাই : হাইকোর্ট

অজুহাত নয়, বিশুদ্ধ দুধ চাই : হাইকোর্ট

‘বাজারের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে কোনো অজুহাত দেখতে চাই না, আমরা চাই বিশুদ্ধ দুধ।’ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) একথা বলেন। পাস্তুরিত দুধে সিসা, কেমিক্যাল ও ক্ষতিকারক পদার্থ মিশিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন আদালত।
  
হাইকোর্ট বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন অনেক বাড়ানো হয়েছে, তারপরও কেন ঘুষ খেতে হবে। ঘুষের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন আদালত। 

আদালতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে আজ। প্রতিবেদন অনুসারে, বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে তাতে ক্ষতিকর সিসা ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদন জমা দেয় আদালতে। কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানায়, ভেজাল দুধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত ১০০টি মামলা হয়েছে।

হাইকোর্ট বলেন, দুধে ভেজাল মোকাবিলায় ফান্ড তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানাতে হবে। এই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো গাভীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।

আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। এসময় বিএসটিআইয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সরকার এম আর হাসান (মামুন)। দুদকের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না এবং মো. সাইফুল আলম।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে এবার মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে।

পরে আদালত দুধে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। রুলে দুগ্ধজাত খাবারে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়।

ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য পণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক এবং সিসা মেশানো রয়েছে- তা নিরূপণ করার জন্য একটি জরিপ শেষে প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন আদালত। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এমএ/ এফসি

আরও পড়ুন