
ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই মামলা করে। রাজধানীর গুলশান থানায় করা ওই মামলায় প্রায় দুই বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি।
বিচারিক আদালত থেকে দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নিয়েও দেয়া হচ্ছে না প্রতিবেদন। এই দুই বছরে ২৪ বারের মতো সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন আদালত। প্রতিবারই ধার্য তারিখে প্রতিবেদন না দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন তারিখ ধার্য করছেন বিচারিক আদালত।
সর্বশেষ এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৪ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত। চলতি বছরের এই ৭ মাসেই তারিখ পিছিয়ে পিছিয়ে মোট ৭ বার দিন ধার্য করা হয়েছে এই মামলায়। এর আগে গত ৭ জুলাই, ২৯ মে, ৩০ এপ্রিল, ৩১ মার্চ, ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল মামলাটিতে।
সর্বশেষ গত ৭ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন তারিখ ৪ আগস্ট ধার্য করেন। এর আগে গত বছর ২০১৮ সালেও ২৬ ডিসেম্বর, ২৫ নভেম্বর, ২৪ অক্টোবর, ২৪ সেপ্টেম্বর, ১২ আগস্ট, ১২ জুলাই, ১৩ জুন, ৯ মে, ১১ এপ্রিল, ১১ মার্চ ও ১১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
প্রসঙ্গত, মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভোলা বিআরটিএর (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় শুল্ক গোয়েন্দারা। ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি দেখিয়ে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগ ওঠে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে।
শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাড়িটিতে ২ দশমিক ১৭ কোটি টাকার শুল্ক কর জড়িত। এছাড়া, শুল্ক গোয়েন্দার জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শুল্ক গোয়েন্দা অফিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এমএ/ এফসি