পুলিশ তদন্তে রিফাত হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রধান সাক্ষী মিন্নি আসামি হতে পারেন। কিন্তু মূল আসামি বাদ দিয়ে মিন্নিকে নিয়ে পুলিশের বেশি উৎসাহিত হওয়া উচিত হবে না। বরগুনার সাম্প্রতিক বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পরে এ সংক্রান্ত রিট খারিজ করে দেন আদালত।
এই মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত।
আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, পুলিশের তদন্তে অসন্তুষ্ট হলে মিন্নির পরিবারের কেউ আদালতে আসতে পারে। স্বাধীন দেশে এটা সবার অধিকার।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
উল্লেখ্য গত ২৫ জুলাই বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বা সিআইডির তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ এমন স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত করতে অভিজ্ঞ নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ বড় ধরনের মামলা সিআইডি তদন্ত করে। সিআইডির কাজ হলো তদন্ত করা। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের কাজ আসামিদের গ্রেপ্তার করা। ফেনীর নুসরাত হত্যা মামলা পিবিআই তদন্ত করে। সুতরাং রিফাত হত্যা মামলাও ন্যায় বিচারের স্বার্থে পিবিআই বা সিআইডি দ্বারা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হোক।
এমএ/টিএফ