
রাজধানীর শ্যামপুরে শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মা হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি উভয়কেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাবাসের আদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবুল হোসেন নাম একজনকে খালাস দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন সরকার ওরফে মফিজ এবং রংপুরের কাউনিয়া থানার মৃত আবুলের ছেলে আবু জাহের ওরফে জাহের খান।
১৫ বছর আগের ওই ঘটনায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের অনুপস্থিতিতে বুধবার (৭ আগস্ট) এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।
সুহারা উম্মাকে হত্যার ঘটনায় তার দেবর আব্বাস আলী ২০০৪ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, তার ভাই জহিরুল ইসলাম ওরফে হাফিজ কুয়েত থাকাকালে শ্রীলঙ্কার নাগরিক সুহারা উম্মার সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে হয়। তারপর থেকে সুহারা উম্মা তার ছেলে শাকিলকে নিয়ে শ্যামপুরের জিয়া সরণি গ্যাস রোডে বসবাস করতেন। ২০০৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সুহারা উম্মার বাসায় তাদের ভাড়াটিয়া আবুল হোসেনের ভায়রা মফিজ ও তার এক বন্ধু বেড়াতে যায়। পরে সুহারা উম্মাকে তারা শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার এসআই সোহেল আহমেদ তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ফজুলল হক সরকার ওরফে হান্নান নামে এক আসামিকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
এমএ/এসএমএম