
‘ক্রিটিক্যাল জোন’ হিসেবে পরিচিত সুন্দরবন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প কারখানা স্থাপনে সরকার বাধা দিতে পারবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এতে সুন্দরবন সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও আইনগত সব পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত সরকারের বলেও জানানো হয়েছে।
আদালতে আজ (মঙ্গলবার) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শফিক আহমেদ।
গত ২৫ আগস্ট ( রোববার) হাইকোর্ট জানতে চায়- সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প কারখানা বৈষম্য কেন? সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার সংকটাপন্ন এলাকার মধ্যে কোনো শিল্প কারখানা স্থাপন করা যাবে না। শিল্প কারাখানা স্থাপনের জন্য কাউকে অনুমতি দেবে সরকার, আবার কাউকে দেবে না, এই বৈষম্য চলবে না বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেন আদালত।
এর আগে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কতগুলো শিল্প-কারখানা রয়েছে সেই তথ্য প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, সুন্দরবনের আশপাশে নতুন করে শিল্প-কারখানা অনুমোদনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিল্প-কারখানা স্থাপনের অনুমোদন কেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৯ সালের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন হবে না এবং নির্মিত নতুন শিল্প-কারখানা কেন অপসারণ করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন আদালত।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজি, ডেপুটি কমিশনার খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও খুলনার পুলিশ সুপারকে (এসপি) ওই রুলের জাবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত এপ্রিলে সুন্দরবনের চারদিকে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প-কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব কলকারখানা স্থাপনের অনুমতি বা ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তা বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়।
‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’র সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
এমএ / এফসি