
সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি অনুসারে সাংবাদিকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারির ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, '২৮ জানুয়ারি মধ্যে গেজেট হবে। এই সময়ের মধ্যে যা যা করণীয় সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। এমনকী আওয়ামী লীগের ইশতেহারে উল্লেখ ছিল সাংবাদিক আবাসনের ব্যবস্থা। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব। সারা জীবন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লিখেছেন এমন বিশিষ্ট সাংবাদিক তাদের প্রয়োজনের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও পাবেন।
রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ গণমাধ্যম- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যদি রাষ্ট্রের উন্নতিকরণের কাজ না হয় তবে রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং আপনাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করাই মূল লক্ষ্য আমাদের। আপনাদের যদি কোনো অভাব অভিযোগ থাকে আমাকে সরাসরি বলবেন।
তিনি বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি মনে করি, আমার প্রধান কাজ হলো সাংবাদিক বন্ধুদের কল্যাণ সাধন করা। বাংলাদেশে অনেক ভালো সংবাদমাধ্যম, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম নানা কারণে বন্ধের পথে, সেগুলোকে কীভাবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সহায়তা করা যায় সে বিষয়েও আলোচনা হবে। যার ফলে ভালো সংবাদমাধ্যম টিকে থাকে। হারিয়ে না যায় সেজন্য আলোচনা হচ্ছে।'
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কল্যাণে ব্যবস্থার পাশাপাশি দেশের জনগণের কল্যাণের সম্মিলিতভাবে যেন কাজ করতে পারি। সেজন্য আপনাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমার অন্যতম দায়িত্ব হলো সাংবাদিকদের কল্যাণ করা। যেকোনো দেশের উন্নয়নের জন্য সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন । একইসঙ্গে আরো কিছু করার থাকলে যা যা করণীয় তা করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার সচেতন হতে হবে যেন রাষ্ট্রের কল্যাণ হয়। সমালোচনা অবশ্যই হবে, দায়িত্ব থাকলে সমালোচনা হবে। কিন্তু সেই সমালোচনা যেন গঠনমূলক হয়। সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে সবাইকে।
হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সকল সাংবাদিক চেষ্টা করেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে। কিন্তু দুএকজনের ভুলের জন্য কমিউনিটির বদনাম হতে পারে না। সেজন্য আমি মনে করি সাংবাদিক ইউনিয়নের দায়িত্ব কম নয়।
বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সহ-সভাপতি খন্দকার মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ।
এএইচএস/এফসি