• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম

আজ নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস

আজ নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস
ছবি- জাগরণ।

আজ ১২ডিসেম্বর। আজকের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় নরসিংদী। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নরসিংদীর বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদার বাহিনী। সেদিনের নির্মম হত্যাযজ্ঞের কথা মনে হলে আজও আতকে উঠে নরসিংদীবাসী। হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন জেলার অংসংখ্য বীর মুক্তিযুদ্ধা। অবশেষে ১২ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় নরসিংদী। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৯টি বছর পার করলেও জেলার গণকবরগুলোর কাজ সম্পন্ন হয়নি।

১৯৭১ সালের ১২ই ডিসেম্বর নরসিংদীতে সমাপ্তি ঘটে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের। মুক্তিবাহিনীর হাতে পরাজয় বরণ করে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা। জেলার এমন কোন অঞ্চল নেই যেখানে পাক সেনাদের নিষ্ঠুর ছোবল পড়েনি। পাক বাহিনীর সদস্যরা এদেশের বীর সন্তানদের হত্যা করে গণহারে মাটিতে পুতে রাখে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঁচদোনা ব্রীজ, মনোহরদীর ব্র‏হ্মপুত্র নদের তীর, শিবপুরে ঘাসিরদিয়া ও পুটিয়া বাজার, বেলাব আড়িয়াল খাঁ নদীর পাশে, ঘোড়াশালের আটিয়াগাও, রায়পুরা মেথিকান্দা রেল ষ্টেশনের পাশে ও জিনারদীর গয়েশপুর স্কুলমাঠে। কিন্তু অধিকাংশ গণকবরই রয়েছে এখনো অযত্ন আর অবহেলায়। সরকারী সহায়তায় প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বদ্ধভূমি নির্মাণ হওয়ার কথা থাকলেও বেশির ভাগের কাজ শেষ হয়নি। কাজগুলো আটকে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত শেষ করার দাবি জানান বীর মুক্তিযুদ্ধাগণ।

৭১’এ মুক্তিযুদ্ধে জিনারদী অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বীর মুক্তিযুদ্ধা সুলতান উদ্দিন পাঠান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় শতাধিক খণ্ডযুদ্ধ সংগঠিত হয়। এসময় পাক হানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে নরসিংদীতে ২৭ জন, পলাশে ১১ জন, শিবপুরে ১৩ জন, রায়পুরায় ৩৭ জন, বেলাবতে ১৬ জন ও মনোহরদীতে ১২ জনসহ মোট ১১৬ জন বীর সন্তান শহীদ হন। আর বিশেষ করে গণকবরগুলো আজও অরক্ষিত।

নরসিংদীর ৮জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধাদের মধ্যে মতিউর রহমান বীর বিক্রম একজন। যিনি পাঁচদোনার যুদ্ধে সরাসরি পাক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেন। তারই ছেলে কে এইচ খলিলুর রহমান আপেল। নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে নরসিংদীর ৮ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধাসহ তাদের নামে বিভিন্ন সড়কের নামকরণ ও স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

নরসিংদী জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল মোতালিব পাঠান জানান, নরসিংদীতে অনেকগুলো বদ্ধভূমি থাকলেও সরকারী অর্থায়নে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে গণকবরের স্থলে বদ্যভূমি নির্মান করা হবে। এরমধ্যে শিবপুরের পুটিয়ায় একটি শেষ পর্যায়ে। পাঁচদোনায় কাজ চলছে বাকিগুলোর কাজ দ্রুত শেষ হবে বলে আশা। তবে তিনিও বলেন, কাজগুলো খুবই ধীর গতিতে চলছে।  

৭১-এ দীর্ঘ নয় মাসে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় শতাধিক খণ্ডযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাক হানাদারদের নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হন ১১৬ জন বীর সন্তান।  

 

 

এসকেএইচ//