অনেকেই আছেন যারা কথায় কথায় প্রশ্ন করেন। কিন্তু এটা কি খারাপ অভ্যাস হতে পারে? প্রশ্ন করার পক্ষে হয়তো নানা যুক্তি দাড় করানো যায়। প্রশ্ন না করলে মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে জানবে কী করে, অথবা একটার বেশি প্রশ্নে বিরক্ত হওয়ারই বা কী আছে! একবার নিজেকে দিয়ে ভেবে দেখুন তো, পাশে আপনার যে সহকর্মী বসেন তিনি যদি দিনের মধ্যে হাজারটা প্রশ্নের সামনে আপনাকে দাঁড় করান, কেমন লাগবে আপনার? হয়তো একদিন খুব মন খারাপ আপনার, কথা বলতে ইচ্ছা করছে না, অথচ অনবরত সেই সহকর্মী মন খারাপের কারণ জিজ্ঞসা করেই যাচ্ছেন, তখনও কি বলবেন খুব বেশি কৌতুহলী হওয়ার মধ্যে দোষের কিছু নেই?
কৌতুহল থাকা ভালো। কিন্তু অকারণ, অপ্রয়োজনীয় কৌতুহল যদি অন্য কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত করে অথবা তার ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে সেই কৌতুহল কখনোই সমর্থন করা যায় না। অতিরিক্ত প্রশ্ন করার কারণে তখন সেই ব্যক্তি অন্যদের কাছে বিরক্তির পাত্র হয়ে দাড়ান। সবাই তাকে এড়িয়ে চলতে থাকে।
আপনার মধ্যেও যদি এমন প্রশ্ন করার স্বভাব থাকে, তাহলে সেই অযাচিত কৌতুহল দূর করতে কী করবেন?
যা করবেন
কিছু কিছু অভ্যাস আছে যা বদলাতে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। প্রথম পদক্ষেপ থেকে শুরু করে পরিবর্তনের পুরো প্রক্রিয়াটাই আপনার নিজের দায়িত্ব।
নিজেকেই বুঝতে হবে আপনার কোন প্রশ্নে অন্যরা বিরক্ত হচ্ছেন অথবা উত্তর দিতে দ্বিধা করছেন। কেউ আপনার প্রশ্নে অস্বস্তিবোধ করলে সেই মুহূর্তেই নিজেকে সামলে নেওয়া উচিত। কোনো একজন মানুষ আমাদের যতই কাছের হন না কেন, সবারই একটা ব্যক্তিগত জায়গা আছে। সেই ব্যক্তিগত জায়গাটাকে সম্মান করতে একের পর এক প্রশ্ন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
যদি একান্তই কোনো বিষয়ে আপনি জানতে আগ্রহী হন, তাহলে আগে বুঝে নিন সেই সময়টা আদৌ এই প্রশ্ন করার জন্য উপযোগী কি না। কেউ যখন মানসিকভাবে কোনো সমস্যায় থাকেন, তখন তাকে প্রশ্ন করে বিব্রত না করাই ভালো।