একটা সময় ছিল যখন মানুষ কবুতরের পায়ে চিরকুট বেঁধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য আদান-প্রদান করতো। তারপর এলো চিঠির যুগ। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এটি এখন একেবারেই সহজ। বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে এসএমএসের মাধ্যমে এক চাপে তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া যায় অন্য প্রান্তের প্রাপকের কাছে।
কিন্তু কীভাবে এই এসএমএসের আবির্ভাব হলো? প্রথম এসএমএস কবে পাঠানো হলো? কেইবা এটি আবিষ্কার করলো?- তা যেমন অনেকে জানেন না, তেমনি অনেকের জানা নেই কে কাকে বিশ্বের প্রথম এসএমএস পাঠিয়েছিল? সেই এসএমএসে কী বার্তা পাঠানো হয়েছিল? তাই চলুন জেনে নেয়া যাক এসব প্রশ্নের উত্তর।
মোবাইল থেকে মোবাইলে কোনো ক্ষুদে বার্তা টাইপ করে পাঠানোর নামই বিশ্বব্যাপী এসএমএস নামে পরিচিত। এর পূর্ণ নাম হচ্ছে ‘শর্ট মেসেজিং সার্ভিস’ (এসএমএস)। সাধারণত একটি এসএমএসে অক্ষর, চিহ্ন বা নাম্বর মিলিয়ে মোট ১৬০ অক্ষর পাঠানো যায়।
বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠানো হয় এখন থেকে ২৮ বছর আগে। ১৯৯২ সালের ৩ ডিসেম্বর নেইল পাপওয়ার্থ তার নিজের কম্পিউটার থেকে রিচার্ড জারভিসের কাছে বিশ্বের প্রথম এসএমএসটি পাঠান। এই এসএমএস পাঠাতে ভোডাফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছিলেন ২০ বছর বয়সী নেইল।
নেইল বিশ্বের প্রথম এসএমএস পাঠালেও এর জনক হলেন ফিনল্যান্ডের প্রকৌশলী ম্যাটি ম্যাক্কোনেন। তিনি নোকিয়া, টেলি ফিনল্যান্ড, ফিনেট নামের বেশ কয়েকটি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নিজ দেশের টেলিকম ও পোস্টাল এজেন্সিতে কর্মরত থাকার সময় গবেষণা করে তিনি এসএমএস সার্ভিস আবিষ্কার করেন।
ও হ্যাঁ, জারভিসের কাছে পাঠানো নেইলের বিশ্বের প্রথম এসএমএসটিতে লেখা ছিল ‘ম্যারি ক্রিসমাস’।