‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’- রমজানের শেষ মুহূর্তে এই গানটিই কানে বাজতে থাকে। বার্তা দেয় ঈদের। পবিত্র ঈদের আনন্দ উপভোগের চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও।
গেল বছরের মতো এবারও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদ পালন হবে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে অনেকেই ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। শিকড়ের টানেই প্রতিবছর যান। এবারও ব্যতিক্রম নয়। উদ্দেশ্য, বছরের এই সময় শুধু পরিবারের সঙ্গে কাটানো। পরিবারকে সময় দেওয়া। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধে মধ্যেই ঈদ উদযাপনে তাই ঈদের দিনটি ঘরেই কাটান।
ঘরে পরিবারের সঙ্গে কীভাবে ঈদের দিনটি উপভোগ করবেন, এ নিয়ে কিছু পরিকল্পনা জানাব এই আয়োজনে।
- নতুন জামাকাপড় পরে দিনটি শুরু হয়। মসজিদে সীমিত পরিসরে নামাজ আদায় হবে। তাই ছেলেরা নতুন জামা পরে খুব সকালেই চলে যান মসজিদে। নিজের এলাকায় কাছের কোনো মসজিদে যাবেন। অবশ্যই নিজের নামাজের বিছানা নিজেই নিয়ে যাবেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ছোটদের বাড়িতেই নামাজ পড়ার উৎসাহ দিন। সম্ভব হলে নিজেও ঘরেই নামাজ আদায় করুন।
- নামাজে যাওয়ার আগে মিষ্টি মুখ করে যেতে হয়। তাই পরিবারের মেয়েরা ঈদের সকালের আয়োজনটি আগের দিন রাতেই সেরে ফেলুন। ডেজার্টগুলো আগেই বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
- নামাজ থেকে এসেই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে পরিবারের সবার সঙ্গে কোলাকুলি করা হয়। এই বছর এটা না করাই ভালো। কেননা করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- ঈদে সালামি হচ্ছে ঈদুর ফিতরের অবিচ্ছিন্ন অংশ। ছোটরা বড়দের সালামি দেবেন। তার আগে ছোটরা বড়দের সালাম করবেন। এই বছর এই রীতিটাও কিন্তু বদলে নেওয়া যায়। মানে সালাম হাত দিয়েই দেবে ছোটরা। আর তাদের ঈদি বা সালামি দেবেন।
- এরপরই খাওয়া দাওয়ার ধুম। টেবিলে বসে পরিবারের সঙ্গে সকালের নাশতাটা সেরে নিন। যেহেতু স্বজনদের বাসায় যাওয়ার সুযোগ নেই, তাই বাড়িতেই পেট ভরে খেয়ে নিন।
- ঈদ দিনটির জন্য় বাড়িকে একটু নতুন করে সাজিয়ে নিন। কেননা বাইরে ঘুরে ঈদ উদযাপনের সুযোগ তো নেই। তাই বাড়িতে লাইটিং করে, কাঁচা ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিন। উৎসবে আমেজ উপভোগ করবেন।
- ঈদে পরিবারের মেয়েদের কাজ বেশি থাকে। তাদের কিছুটা সাহায্য করতে পারেন পরিবারের ছেলেরা। এতে নতুন জামা পরে মেয়েরাও দিনটি উপভোগ করতে পারবেন।
- দুপুরের খাবারও পরিবারের সঙ্গেই একই সময়ে খেয়ে নিন।
- টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলে ঈদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খাওয়া শেষে পরিবারকে নিয়ে অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে পারেন। ছোটদের সঙ্গে নিয়েই টেলিভিশন দেখুন। নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান কিংবা ছোটদের ঈদ আনন্দ নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। এতে ছোটরাও শিখবে, ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গেই হয়।
- সন্ধ্যার পরের সময়টা চায়ের সঙ্গে আড্ডা হতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে কিংবা স্বজনদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটে শুভেচ্ছা বিনিময় করুন। ঈদ আনন্দ কে, কীভাবে উপভোগ করেছেন, তা নিয়ে জমিয়ে আড্ডা হতে পারে।
- রাতের খাবারটিও দ্রুত সেরে নিন। এরপর কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে টেলিভিশন দেখে সময়টা উপভোগ করতে পারেন।
- ঈদ মানেই আনন্দ থাকা। পুরো দিনটি আনন্দে কাটাবেন। নেতিবাচক বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবেন। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।