দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। সব প্রস্তুতি শেষ। এবার নিজেকে রাঙানোর পালা। ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন সবই হয়ে গেছে। এবার হাত রাঙানো হবে মেহেদি দিয়ে।
যেকোনো উৎসবে মেহেদির রঙে হাত সাজানো খুব জনপ্রিয় একটি রীতি। ধর্মীয় উৎসব, বিয়ে-জন্মদিনের আয়োজনে হাতে মেহেদি না দিলে কি উৎসবের পরিপূর্ণতা পায়!
ঈদের আগের দিন চাঁদ রাত মানে মেহেদি উৎসব। বাড়িতে ঈদের রান্নার প্রস্তুতি চলে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে বসে মেহেদি আসর। ছোট থেকে বড় সবাই একে একে মেহেদী লাগাতে বসেন। দুই হাত ভরে আঁকিয়ে নেন নানা নকশা।
ঈদ শপিংয়ের সঙ্গে মেহেদি কিনতে কিন্তু কেউ ভুলেন না। বাজারে টিউব মেহেদি পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের। মেয়েরা পছন্দ অনুযায়ী মেহেদি কিনেন। এরপর সব কাজ শেষে ঈদের আগের দিন ইফতারের পরপরই বসে যান মেহেদি লাগাতে। অনেকে তো আরও আগেই মেহেদি দিয়ে হাত রাঙিয়ে ফেলেছেন।
আলমাস, আড়ং, রাঙাপরি, সাজগোল্ড, লিজান, মমতাজ, এলিট, শাহজাদী, লিজানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেহেদি পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটে। যার মূল্য ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যেই। প্রতিটি টিউবের সঙ্গে থাকে ছোট নকশা বই।
টিউব মেহেদি যাদের পছন্দ নয়, তারা মেহেদি গাছের পাতা বেটে লাগিয়ে নেন। মেহেদি গাছের গাঢ় সবুজ রঙের পাতা থেকে যে মিষ্টি গন্ধের টকটকে লাল নির্যাস বের হয়, তা সত্যি দারুন! বাটা মেহেদিতে রং বেশ স্থায়ী হয়। নকশা করে লাগাতে বাটা মেহেদিকে কোণকৃতি টিউবে ভরেও লাগাতে পারেন।
বিভিন্ন বিউটি পার্লারগুলোতে মেহেদি দেওয়ার জন্য রয়েছে বিশেষায়িত বিউটিশিয়ান। যারা শুধুমাত্র মেহেদি দেওয়ারই কাজ করেন এবং তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এসব বিউটিাশিয়ানদের অনেকেই আবার বাড়িতে গিয়েও মেহেদি লাগিয়ে দেন। চাইলে পার্লারে না গিয়ে ঘরেও তাদের দিয়ে মেহেদি লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে করোনা এই পরিস্থিতিতে ঘরে নিজেই মেহেদি লাগিয়ে নিন। সুরক্ষিত থেকে উৎসব উপভোগ করুন।