
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশা নেই এমন বাড়িও এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না। গ্রীষ্মের সময় মশার উপদ্রব তো আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সেখানেই বংশবিস্তার হয় মশার। বাড়তে থাকে মশার কামড়।
শিশুদের জন্য় মশার কামড় ক্ষতিকর। তাদের ত্বকে চুলকানি হয়। জ্বালাভাবও বেড়ে যায়। নখের আঁচড়ে অনেক সময় ইনফেশনও হয়ে যায়। লালচে দাগ হয়ে যায়। এই দাগ বা জ্বালাভাব দূর করতে কত চেষ্টাই না থাকে। অথচ কিছু ঘরোয়া উপায়েই মিলবে মুক্তি।
মধু
মধু ত্বকের জন্য় বেশ উপকারী। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় মধুর জুড়ি মেলা ভার। এটি মশার কামড় থেকে হওয়া ফোলাভাবও দূর করে। মশা কামড়ানো স্থানে মধু লাগান। ফোলাভাব কমবে এবং চুলকানিও দূর হবে। অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন ধরনের ক্ষত সারিয়ে তুলে।
টি ব্যাগ
গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি এই দুটিতেই অ্যান্টি-সোয়েলিং উপাদান রয়েছে। টি ব্যাগ ব্যবহারের পর তা কখনোই ফেলে দেবেন না। ব্যবহৃত টি ব্যাগ কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর তা মশা কামড়ানো স্থানে চেপে ধরুন।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা চুলকানো স্থানে ঘষে নিন। লালচে ও জ্বালাপোড়াভাব কমে যাবে। দুই কাপ পানিতে প্রায় ১৫ গ্রাম শুকনো তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। এরপর এটি ঠান্ডা করে তাতে এক টুকরো কাপড় ডুবিয়ে নিন। ভেজা কাপড়টি সংক্রমণ স্থানে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। উপকার পাবেন। লালচে দাগও কমে যাবে।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেলও খুব কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল খুব ঠান্ডা হয়। অ্যালোভেরাগাছ থেকে ফ্রেশ জেল মশার কামড়ের জায়গায় লাগান।
নিম পাতা
নিম পাতা বেটে মশার কামড়ে স্থানে লাগিয়ে নিন। দারুণ চিকিৎসা হতে পারে এটি। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। জ্বালাপোড়া ভাব কমে যাবে।