দৈত্যাকার তিমির পেট থেকে জীবন্ত ফিরে এলেন এক মৎস্যজীবী। নাম তার মাইকেল প্যাকার্ড। ঘটনাটি আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসের একটি দ্বীপের ঘটনা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন এই ডুবুরি।
জি নিউজ জানায়, মাইকেল প্যাকার্ড একজন লবস্টার ডুবুরি। প্রায়ই সমুদ্রে নামেন মৎস্য শিকারে। সেই দিনও এক সহযোগীকে নিয়ে গভীর পানিতে নেমেছিলেন। এরপরই ঘটে যায় আশ্চর্যজনক সেই ঘটনা।
অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মাইকেল বলেন, “হঠাত্ই সব অন্ধকার! তীব্র ঝাঁকুনিও অনুভব করি। সমুদ্রের ওই অঞ্চলে হাঙরের আনাগোনা বেশি থাকে। প্রথমে ভেবেছি, হাঙরের খপ্পরেই পড়েছি। পরক্ষণেই বুঝতে পারি, এটি আর যাই হোক হাঙর নয়। কেননা শরীরে কোনও যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম না। শ্বাস-প্রশ্বাসও স্বাভাবিকভাবেই চলছিল!”
সেই মুহূর্তে কিছুই বুঝতে পারলিছেন না মাইকেল। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি বুঝতে পারেন এক দৈত্যাকার তিমির কবলেই পড়েছেন। মাইকেল বলেন, “যখন বুঝতে পেরেছি দৈত্যাকার তিমির কবলে পড়েছি, ততক্ষণে অব্যাহতি পেয়ে গেছি।"
মাইকেল জানান, বিশাল আকৃতির হাম্পব্যাক তিমির কবলে পড়েছিলেন তিনি। মুহূর্তেই তাকে গিলে নিয়েছিল তিমিটি। কিন্তু পুরো মানুষ গিলতে না পেরে তাকে উগরে দেয় সেই তিমিটি। এরপর কোনও রকমে সাঁতার কেটে সহযোগীর কাছে পৌঁছান। সহযোগীর সাহায্যে তিনি হাসপাতালে যান। হালকা ব্যথা ছাড়া তার শরীরে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসেন।
এরপরই মাইকেল ওই ঘটনার বৃত্তান্ত জানিয়েছেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "মাছ ধরতে প্রায় ৪৫ ফুট পানির নিচে নেমেছি। সেখানেই দৈত্যাকার তিমির কবলে পড়ি। চোখের সামনে সব অন্ধকার দেখি। গিলে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। ও ভাবে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মতো ছিলাম। আস্ত মানুষ গিলতে না পেরে বাইরে বের করে দেয়। এটি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ছাড়া আর কী!"