হিন্দু ধর্মাম্বলীদের একটি প্রচলিত প্রথা জামাইষষ্ঠী। এটি পালন করা হয় জৈষ্ঠ্য মাসে। আম-জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি নানা ফলের সমারোহ এই মধু মাসকে ঘিরেই পালন করা হয় এই দিনটি। মেয়ের জামাইকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন। জামাই আসনে বসিয়ে কপালে দইয়ের ফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। দীর্ঘজীবন কামনায় মা ষষ্ঠীর স্মারক তেলে ও হলুদে ডোবা্নো সুতো হাতের কবজিতে বেঁধে দেন। এরপর নতুন জামা-কাপড় জামাইয়ের হাতে তুলে দেন। সামনে থাকে নানা খাবারের আয়োজন। মিষ্টি, ফল ও আমিষ-নিরামিষের আয়োজনে সাজানো হয় পুরো টেবিল। জামাই বাবাজীও শ্বশুড়বাড়িতে দই-মিষ্টির সঙ্গে আশীর্বাদের পর প্রণামী হিসেবে শাশুড়িকে শাড়ি উপহার দেন। এভাবেই নিয়ম মেনে পালিত হয় জামাই ষষ্ঠী।
জামাই ষষ্ঠীর আয়োজনের ধুম পড়ে দুই দিন আগ থেকেই। কী কী খাবার রান্না হবে তার বিশাল তালিকা তৈরি করা হয়। আমিষ-নিরামিষের নানা পদ তৈরি করা হয়। জামাই ষষ্ঠীতে থালা সাজাতে কী কী পদ থাকতে পারে তার একটি ধারনা নেওয়া যাক এই আয়োজন থেকে।
সরষে পমফ্রেট
যা যা লাগবে_
যেভাবে বানাবেন_
মাছগুলো লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এক চিমটে লবণ ও হলুদ দিয়ে সরষে বেটে নিন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। একটা কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে মাছ দু’টো ভেজে নিন। খুব কড়া করে ভাজতে হবে না। এরপর তুলে রাখুন।
একই পাত্রে আরেকটু তেল গরম করে তাতে কালো জিরা, কাঁচামরিচ ও রসুন দিয়ে দিন। রসুনের সুগন্ধ বের হলে সরষে বাটা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে নাড়তে থাকুন। একটু পানি দিয়ে ভালো করে নাড়ার পর যতটা ঝোল রাখবেন সেই অনুযাযী পানি ঢেলে দিন। ৩-৪ মিনিট নাড়তে থাকুন। এরপর মাছগুলো দিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট রান্না করুন।
চুলা বন্ধ করে দিন। এরপর উপর থেকে খানিকটা সরষের তেল ঢেলে আরও ১৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলে সরষে পমফ্রেট।